লোকাল ট্রেন বন্ধ। ৩০ জুন পর্যন্ত কিছু বিশেষ ট্রেন ছাড়া চলবে না লোকাল ট্রেন। এখনও পর্যন্ত এমনই জানিয়েছে রেল। এদিকে রাজ্যে বেসরকারি বাস চলাচলে ভাড়া না বাড়িয়ে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তা চালানো নিয়েও প্রশ্নের যাঁতাকলে বন্ধ রয়েছে তাও। ট্যাক্সি বা ক্যাবের ব্যবহার করার মতো আর্থিক ক্ষমতা সকলের নেই বলেও মনে করেন অনেকেই। কিন্তু এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েই শুক্রবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন, ৮ জুন থেকে খুলবে সমস্ত বেসরকারি ক্ষেত্র। শুধু তাই নয়, এই সমস্ত ক্ষেত্রই ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়ে তাঁদের কাজ চালাতে পারবেন। এর পাশাপাশি চা বাগান সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রেও অনেকটাই ছাড়ের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এমনকি, আগামী ১ জুন থেকে সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা সহ বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানের খোলার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বড় কোনও জমায়েত না করে ১০ শতাংশ মানুষ একসঙ্গে এইসমস্ত স্থানে প্রবেশ করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। আম পান ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য সাহায্য এবং সেই সংক্রান্ত ঘোষণার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই প্রশ্ন উঠেছে একাধিক মহলে। কেউ কেউ বলছেন, গণ পরিবহণ সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য না হলে, কীভাবে বেসরকারি ক্ষেত্রে বহু মানুষের কাজের সূত্রে পৌঁছনো সম্ভব! যেখানে সরকারি বাসে এখনই ভিড় হচ্ছে, বহু মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও উঠতে পারছেন না বলে কিছু জায়গা থেকে অভিযোগ উঠছে, সেখানে দাঁড়িয়ে সরকারি বাসের পরিসেবা দিয়ে, এত মানুষের কর্মস্থলে পৌঁছনো সম্ভব!
২৯.০৫.২০২০
কলকাতা