বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে অর্ধকোটির বেশি। মৃত্যু হয়েছে লক্ষাধিক। এদেশেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে দেড় লক্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে প্রায়। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার মধ্যেই ফের আশঙ্কার বাণী শোনাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু । তাঁদের তরফে জানানো হচ্ছে, করোনা মহামারী এখনও প্রথম পর্বের মধ্য পর্যায়ে রয়েছে। এটার তীব্রতা বৃদ্ধি হয়ে দ্বিতীয় পর্বে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যা বিভিন্ন দেশ স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবেশ করতে পারে। অর্থাৎ তাঁদের কথা অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে লক ডাউন শিথিল বা একেবারে উঠে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই মহামারী তীব্রতা আকার ধারণ করতে পারে ফের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উচ্চ পদস্থ আধিকারিক ড. মাইকেল রায়ান বলেন, ”এখনও আমরা দ্বিতীয় ওয়েভে নেই। আমরা প্রথম ওয়েভের মধ্য পর্বে রয়েছি বিশ্বজুড়ে।” বিভিন্ন দেশের জনজীবন স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ার প্রভাবের সঙ্গে এই মহামারীর প্রকোপ ফের বাড়তে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এই পর্বেই ইতিমধ্যেই বুধবার সকাল পর্যন্ত ৫৬ লক্ষ ৮৪ হাজারের বেশি হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সমগ্র বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৩ লক্ষ ৫২ হাজারের বেশি মানুষ। জানুয়ারি থেকে এই পর্যন্ত ক্রমশ বেড়েছে এর প্রকোপ। লক ডাউন করেও ভারতের মতো দেশে বেড়েই চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেড় লক্ষ ছুঁয়ে ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র হলেও, তাঁদের বর্তমান সিদ্ধান্ত অর্থাৎ দেশের বহু অংশ স্বাভাবিক করার চিন্তাভাবনা, বিশ্বের বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশকে চিন্তায় রাখছে। ইতিমধ্যেই ভারতের মতো দেশ বিশ্বে আক্রান্তের নিরিখে প্রথম দশে পৌঁছেছে।
সবমিলিয়ে, করোনা ত্রাসের প্রকোপ না কমলেও, কিছুক্ষেত্রে র অপ্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত এর প্রকোপ আরও বাড়াতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। রীতিমত বিভিন্ন দেশকে স্বাভাবিক করার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি বিপদের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনাও থাকছে বিশ্বে। এখনও প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এই মুহূর্তে করোনা আবার ধাক্কা দেওয়া শুরু করলে, কী বিপদ ডেকে আনতে পারে, তা নিয়েও আশঙ্কিত বিশেষজ্ঞদের একাংশও। তাঁদের দাবি, কিছুক্ষেত্রে পরিকল্পনার অভাব ইতিমধ্যেই বাড়িয়ে দিয়েছে করোনা। তারপর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই অশনি সঙ্কেত মিলে গেলে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ইতিমধ্যেই ব্রাজিলের সরকারকে সতর্ক করা হয়েছে। যে দেশ এইমুহুর্তে বিশ্বের আক্রান্ত দেশের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। কয়েক লক্ষ ছাড়িয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে Rapid পরীক্ষার দিকেও নজর দিচ্ছে হু। এদিকে ভারতের পরিস্থিতিতে ক্রমশ খারাপের দিকেই এগোচ্ছে বলেই অনেকে বলছেন। কারণ, মঙ্গলবারই অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬,৫৩৫ ! এদিকে ১.৬ মিলিয়নের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে।
সামগ্রিকভাবে থেমে নেই করোনা, রীতিমত বেড়েই চলেছে এই ভাইরাসের প্রকোপ। এর মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই বিবৃতি, ফের চিন্তার উদ্রেক করছে বলেই মত বিশেষজ্ঞমহলের একাংশের।
২৭.০৫.২০২০
TNWP