করোনা আবহে টালমাটাল দেশ! প্রায় একই পরিস্থিতি এই রাজ্যেও। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষের কাছে। মৃত্যুও বাড়ছে ক্রমশ! বিশ্বের আক্রান্তের নিরিখে ভারত সপ্তম স্থানে। তবুও শুরু হয়েছে আনলকের প্রক্রিয়া। গণ পরিবহনের অপ্রতুলতা নিয়ে উঠছে ভুরি ভুরি অভিযোগ। কিন্তু এত কিছু ঘটে গেলেও, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকর এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের মধ্যে মন্তব্যের টানাপোড়েন কিন্তু বন্ধ নেই এখনও। প্রতিমুহূর্তে রাজ্যপাল, শাসকদল এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন! টুইট করে প্রকাশ করছেন বিভিন্ন অভিযোগ! এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ফের, রাজ্যের শাসকদলকে পরোক্ষে বিঁধলেন রাজ্যের রাজ্যপাল অর্থাৎ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান জগদীপ ধনকর। এবার গুরুতর অভিযোগ তুললেন তিনি নিজেই! পরোক্ষে তোপ দাগলেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধেই!
মারাত্মক অপরাধীদের বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে কাদের মদতে, সেই বিষয়েই বিস্ফোরক খোঁচা দিলেন রাজ্যপাল ধনকর। তিনি মঙ্গলবার টুইট করে লেখেন, “সবাই জানেন মারাত্মক অপরাধীরা কার সংরক্ষণ পায় এবং কিছু লোক কোত্থেকে নির্দ্বিধায় দাপিয়ে বেড়াবার সাহস পায়।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “প্রশাসন এবং পুলিশের এই বৈষম্য মূলক আচরণ কিন্তু সরকারি কর্মচারীদের গভীর সমস্যায় ফেলবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ আইনের হাত থেকে আখেরে ঔন কেউই রেহাই পাবে না।”

রাজ্যপাল আরও লেখেন, “৪০ হাজার অপ্রকাশিত রিপোর্টের বিষয়ে ডেরেক ও’ ব্রায়েনের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, এখনও কিন্তু তার কোনো উত্তর পাইনি @মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” তিনি অভিযোগের সুরে প্রশ্ন তোলেন, ”বলুন তো এমন কোনও বিরোধীদলের সাংসদ বা নেতা কী আছেন, যাঁদের ফৌজদারি মামলায় জড়ানো হয়নি।” আক্ষেপের সুরে রাজ্যপালের মন্তব্য, ”মিথ্যে ফৌজদারি মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার মতন ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা সত্যিই হৃদয় বিদারক।”

রাজ্যের রাজ্যপালের এই মন্তব্যের পরে, স্বাভাবিভাবেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ফের। শাসকদলের পক্ষে খুব একটা আমল না দেওয়া হলেও, রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, শাসক দলের বিরুদ্ধে সরাসরি এমন অভিযোগ করছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, বিতর্কের সৃষ্টি করবেই!
০২.০৬.২০২০
কলকাতা