ট্রেনে টানা তিনদিন অনাহারে, মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের 

হরিশ্চন্দ্রপুর: ৩ রা জুন:
মালদা মেডিকেল কলেজে মৃত্যু এক পরিযায়ী শ্রমিকের। মৃত পীযূষ দাস হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা। মঙ্গলবার তাঁর দেহ দাহ করা হয় সদুল্লাপুর শ্মশানে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ ছিল মুম্বই থেকে ট্রেনে অনাহারে তিনদিন ধরে সফর করে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর পৌঁছে কোয়ারান্টাইন সেন্টারে অসুস্থ হয়ে পড়েন পীযূষ । পরে মালদা মেডিক্যাল ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

এদিকে  পরিযায়ী শ্রমিকের অকাল মৃত্যুর খবরে এলাকায় রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।

স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোস্তাক আলম পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছেন। তিনি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর অপরিকল্পিত চিন্তা-ভাবনার ফলে দেশে এমন দুরাবস্থা। তিনি অবিলম্বে এই মৃত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে সরব হয়েছেন।এবং শ্রমিকদের পরিবারকে যাতে ১০০দিনের কাজ দেওয়া হয় সে ব্যাপারেও তিনি উপর মহলের দাবি জানাবেন বলে জানান।

সিপিএম রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস এদিন পরিবারটির হাতে কিছু ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। তিনি জানান পরিকল্পনাবিহীন ভাবে লকডাউন সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিশাল ক্ষতি করেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয়  সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ ।

অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লকের বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া জানান পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জন্য কোনমতেই কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী নয়,কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও সাহায্যই নিতে চায়নি পশ্চিমবঙ্হ সরকার।

এই রাজনৈতিক তরজার মাঝে স্থানীয় বাসিন্দাদের মত দুঃসময়ে কেন্দ্র-রাজ্য উভয় দেশের মানুষকে নিয়ে ছেলে খেলা খেলছে, দুই সরকারের করোনা মোকাবিলায় পরিকল্পনার অভাব সাধারণ মানুষ মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।

রিপোর্ট – মহম্মদ নাজিম আক্তার