করোনা আবহের মধ্যেও নানা ভাবে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের বৈরীতা জনসমক্ষে এসেছে। কখনও রেশন কেলেঙ্কারি হোক কিংবা করোনা চিকিৎসায় রাজ্য সরকারের গাফিলতি সব ক্ষেত্রেই খড়গহস্ত ভাবে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে। এবার আরও একবার রাজ্য সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের ছবি সামনে এল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্যের নিয়োগকে কেন্দ্র করে।
সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হিসেবে গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগ করেন। রাজভবন থেকে জানানো হয় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, ১৯৮১র ৯এ ধারার (১) উপধারা মেনে আচার্য হিসেবে, গৌতম চন্দ্রকে নিয়োগ করা হবে ৪ বছর অথবা ৬৫ হওয়া পর্যন্ত। গৌতম চন্দ্র ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রানীবিদ্যা বিভাগের প্রধানের পদ সামলাচ্চেন।
এরপরই শুরু হয় বিতর্ক। রাজভবন থেকে জানানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে কোথাও রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বিভাগের কোনও উল্লেখ না থাকায় নানা মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন রাজ্যপাল বিজেপির লোককেই সহ সভাপতি পদে নিযুক্ত করতে চান। পাল্টা যুক্তি দিয়ে রাজ্যপাল জানান যা হয়েছে তা ইউনিভার্সিটির আইন মেনে এবং ইউনিভার্সিটির ভালোর জন্যই।
এদিকে উচ্চশিক্ষা দপ্তর সোমবার রাতেই কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার অধ্যাপক আশীষ পানিগ্রাহীকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করে।
কাজেই একই ইউনিভার্সিটিতে ২জন সহ উপাচার্য বহাল হলেন।
যদিও সূত্র মারফত খবর এই ঘটনার মীমাংসা করার জন্য রাজ্য সরকার হাইকোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে। বদল করা হতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় এক্টও যাতে এই নিয়োগ ভিত্তিহীন হয়।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা শ্যাম রাখি না কুল !
এই অচলাবস্থার নিষ্পত্তি কিভাবে হয় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজনৈতিক মহল।