করোনার আবহে খুশির খবর নিউজিল্যান্ডে। সংক্রমণ শুরুর মাত্র ১০১ দিনের মাথায় পুরোপুরি করোনামুক্ত হলো নিউজিল্যান্ড। দেশটিতে আর একজনও কোভিড-১৯ রোগী নেই বলে জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালক অ্যাশলে ব্লুমফিল্ড। এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারির পর থেকে প্রথমবার একজনও আক্রান্ত না থাকা অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় মাইলফলক। তবে আগেও যেটা বলেছি, করোনার বিরুদ্ধে সব সতর্কতা জারি থাকবে।
নিউজিল্যান্ডে জনসংখ্যা প্রায় ৪৯ লাখ। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মাত্র ১ হাজার ১৫৪ জন। মারা গিয়েছেন ২২ জন৷ দেশটি এখন করোনা মুক্ত বলে জানিয়েছেন। করোনা মোকাবিলায় অভাবনীয় সাফল্য দেখিয়ে বিশ্ববাসীর প্রশংসায় ভাসছে নিউজিল্যান্ড। ধীরে ধীরে এবার স্বাভাবিক হওয়ার পথে কিউইদের দেশ ৷ লকডাউন কাটিয়ে উঠে প্রত্যেকেই কাজে ফিরেছেন ৷ করোনার জন্য যে সমস্ত বিধিনিষেধগুলি আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলিকেও এবার ধাপে ধাপে তুলে নেওয়া হচ্ছে ৷ করোনা অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপই নিয়েছিল জেসিন্ডা আরর্ডানের সরকার ৷
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় দেশটিতে টানা সাত সপ্তাহ ছিল কড়া লকডাউন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসতেই গত মাসে তুলে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা। ২৭ মে নিউজিল্যান্ডের হাসপাতাল থেকে শেষ করোনা রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানান ব্লুমফিল্ড। এরপরই প্রায় দুই সপ্তাহ নতুন কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি দেশটিতে বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রথম রোগী শনাক্তের মাত্র সাড়ে তিন মাসের মধ্যেই পুরোপুরি করোনামুক্ত হলো নিউজিল্যান্ড।
এদিকে, করোনার রোগীর সংখ্যা শূন্যে নেমে আসায় সবধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা করতে পারেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন এমনটাই জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। এছাড়াও গত পাঁচ দিনে কোনো রোগী নতুন করে আক্রান্ত হননি। এদিকে টানা ২ মাস লকডাউনে থাকার পর ১৪ মে থেকে রেস্তোরাঁ, দোকানপাট ও সিনেমা হল সহ প্রায় সবকিছুই খুলে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।
PB
০৮.০৬.২০