মালদহ: শ্রমিক ফেরানো এবং ফেরার দুর্দশার চিত্র দেশজুড়ে। ভিন্ন ভিন্ন বিতর্ক, দোষারোপ, সমস্তকিছু মিলিয়ে, করোনা আবহের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি চর্চিত ইস্যু এই পরিযায়ী শ্রমিক। এবার তাঁদের নিয়েই ফের এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হল মালদহে।
লকডাউনের মধ্যে দিল্লি থেকে সড়ক পথে অটো নিয়ে ফিরেছে পরিযায়ী শ্রমিকের দল, আর তাতেই তৈরি হল নতুন বিতর্ক।
তাঁরা আতঙ্ক কিনা? এই ভাবনাতেই, একপ্রকার আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচোল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। আগেই জানা গিয়েছিল, ওই এলাকার অর্থাৎ হরিশ্চন্দ্রপুরে পরপর দু’দিনে মোট ১০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের করোণা সংক্রমণ মিলেছে। এমনটা, প্রশাসন সূত্রেও জানা যায়। যারফলে, মালদহে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
বেড়ে হয়েছে, কমপক্ষে ১৩ জন। এমনটা প্রশাসনের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসনের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম মানিকচক এবং রতুয়া ব্লকে তিন পরিযায়ী করোনা শ্রমিক আক্রান্ত হওয়ার পর, তাঁদের মধ্যে প্রথম দুজনকে শিলিগুড়ি কোভিড-১৯ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে যাঁদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে পুরাতন মালদার নারায়ণপুর এলাকার কোভিড-১৯ হাসপাতালে।
প্রশাসনের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, শনিবার পর্যন্ত মালদায় করোনা পজিটিভের সংখ্যা ছিল ১০। রবিবার নতুন করে আজমের ফেরত আরও তিন পরিযায়ী শ্রমিকের লালারস পরীক্ষায় পজিটিভ ধরা পড়েছে। তিনজন বাদে ১০ জনই হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের একটি গ্রামের বাসিন্দা। গত ৬ মে রাতে আজমের থেকে ২৭৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকদের কয়েকটি বাসে করে সরকারি উদ্যোগে মালদায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। এরপর ওইসব শ্রমিকদের শারীরিক পরীক্ষা লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারপর থেকেই একটার পর একটা করোনা সংক্রমনের খবর বেরিয়ে আসছে। এতে চাঁচোল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপরেই শ্রমিকদের এই অটোয় করে বাড়ি ফেরা নিয়ে আরও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মধ্যগ্রামের বাসিন্দা রঞ্জিত মন্ডল, আইনুল সেখ, দীপেন সাহাদের বক্তব্য, এদিন সকালে আমরা দেখতে পাই দিল্লির নম্বর প্লেট লাগানো দুটি অটোরিকশা ভর্তি পরিযায়ী শ্রমিকের দল হরিশ্চন্দ্রপুর এসেছেন। কিভাবে তারা এতদুর থেকে মালদায় আসতে পারলো, আদেও সঠিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়দের কেউ কেউ।
_____________________________________
১০.০৪.২০২০
মালদহ