ফের ১০ লক্ষ ম্যানগ্রোভে সাজবে সুন্দরবন! ‘খালি ঘর’ তবুও বরাদ্দ ৬২৫০ কোটি : মুখ্যমন্ত্রী

তছনছ সুন্দরবন! শুধু সুন্দরবন নয়, সমগ্র ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ অঞ্চল থেকে শুরু করে পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, হুগলির মতো একাধিক জেলাকে এক লহমায় বিধ্বস্ত করেছে ঘূর্ণঝড় আমপান। কিন্তু কায়েকলক্ষ বাড়ি, হাজার হাজার বিদ্যুতের খুঁটি, কয়েকহাজার জলমগ্ন গ্রাম, বিপুল পরিমাণে রাস্তা, বাঁধের ক্ষতির পরেও, রাজ্যের সবচেয়ে বেশি মাথা ব্যাথা বাড়িয়েছে বিপুল সংখ্যক গাছের ক্ষতি। কলকাতা শুধু নয়, সমগ্র রাজ্যে লক্ষ লক্ষ গাছ নষ্ট হয়েছে এই ঝড়ে! এইরকম এক পরিস্থিতিতেই, অন্যান্য জায়গার সঙ্গেই সবার আগে সুন্দরবনের গরিমা, ঐতিহ্য এবং মানুষের বন্ধু ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের পুনর্নিমাণে সচেষ্ট হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত, বন বিভাগের সহায়তায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে ধাপে ধাপে ১০ লক্ষ ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদ সৃজনের উদ্যোগ নিল রাজ্য। শুক্রবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে এইকথায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বাইরে বেরোলেই পড়তেই হবে মাস্ক, বাইরে গাড়িতে বসলে গ্লাভস বব্যবহার। এককাপ চা খেতে ভূললেও মাস্ক পড়তে ভুল করবেন না কেউ।

: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তিনি বলেন, সুন্দরবন অঞ্চলে ১০ লক্ষ ম্যানগ্রোভ সৃজন করা হবে। এছাড়াও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যেই ২০ হাজার পানের বরজ, ৬০০০ পুকুর পরিষ্কার শুরু, বহু বাঁধ মেরামত, ৪০০ টি ব্রিজ ঠিক করা, মাত্র সাড়ে চারদিনে ২৭৩ টি বিদ্যুতের সাব-স্টেশন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়াও সমস্ত জেলা, রাজ্য, জাতীয় সড়ক পরিষ্কার করা হয়েছে। এইসমস্ত কাজের জন্য যুক্ত সকলকে ধন্যবাদ দেন তিনি। কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুতের সমস্যা এখনও থাকলে, তা অত্যন্ত সিরিয়াস কোনও কারণে বলেও জানান তিনি।

এদিন আমপান মোকাবিলা এবং কৃষকবন্ধু ও জয় বাংলা এর মতো পেনশন প্রকল্প মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোট ৬২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা জানান। জুন, জুলাই মাসের জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ৮০০ কোটি এবং জয় বাংলা প্রকল্পে প্রায় ৫০ লক্ষ সুবিধা ভোগীদের জন্য ১০০০ কোটি টাকা বাদে, শুধুমাত্র আম পানের মোকাবিলায় ৪,৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ভিন্ন ভিন্ন বিভাগ এবং বিষয় অনুযায়ী বরাদ্দের পরিমাণ বলেন।


দাঁড়িয়ে কোনও যাত্রী নয়, যেকোনও বাসের কন্ডাক্টরকে কোনোভাবেই বাধ্য করা যাবে নাএবার সরকারি বাস, বেসরকারি বাসে ২০ না, যতগুলো সিট ততজন যাত্রী।

: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

গুজবে কান দেবেন না, সোশ্যাল মিডিয়াতে ফেক নিউজ ছড়ায়। রাজনৈতিক দলের টাকা নিয়ে কেউ কেউ ছড়ায়। আবার কেউ কেউ খুব ভালো লেখেন পরামর্শ দেন। নিশ্চিত না হয়ে কিছু শেয়ার করবেন না।

: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রথম ধাপে, প্রায় ৫ লক্ষ পরিবারের বাড়ি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা করে দেবে সরকার। বাকি ২৮ হাজার টাকা, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে পাবেন ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। এই সাহায্য পরবর্তী ধাপে আরও ৫ লক্ষ পরিবারের জন্য দেওয়া হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া, রাজ্যের ২০ লক্ষ কৃষক কে সাহায্য এবং কয়েকহাজার পানের বরজ রক্ষার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। পানের বর জের ক্ষেত্রে প্রথমে ৫০০০ টাকা অর্থ সাহায্য করা হবে, পরবর্তীতে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে বাকি টাকা পাবেন তাঁরা।


পরিযায়ী শ্রমিকদের একসঙ্গে গাদাগাদি করে আনছে রেল! জল, খাবার দিচ্ছে না। যাঁদের করোনা নেই তাঁদেরও ঢুকে যাবে!

: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

এই বরাদ্দে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল, শৌচাগার আবার ঠিক বা নির্মাণের জন্য ১০০ কোটি। পানীয় জলের টিউবয়েল এর জন্য ২৫০ কোটি। রাস্তা সরাতে ১০০ কোটি। পোল্ট্রি ফার্ম সহ এই ধরনের বিষয়ে ১০০ কোটি, মৎস্য সংক্রান্ত ক্ষেত্রে ১০০ কোটি, উদ্যান কৃষি বা হর্টি কালচারের জন্য ১০০ কোটি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এবং তার উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করেছে সরকার। যে বিপুল পরিমাণে বরাদ্দ রাজ্যের ফের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দারুণ সহয়াক হবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের।


ঘর খালি তবুও দিচ্ছি, কিছু নেই!

: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই এদিনের এই সাংবাদিক সম্মেলন থেকে লকডাউন ৫.০ নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।


২৯.০৫.২০২০

কলকাতা