‘মন্ত্রীরা তু তু মে মে করছেন’, এখন রাজনীতি আর অভিযোগের সময় না, ফের বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের।

রাজ্যের রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের বিরোধ সর্বজনবিদিত। প্রতিনিয়ত চিঠি আদানপ্রদান বা টুইটের মাধ্যমেই সৃষ্টি হয় একাধিক বিতর্ক। এবার ফের, আমপান পরিস্থিতি এবং ত্রাণ সহ রাজ্যের সামগ্রিক কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর।

একাধিক টুইট করে তিনি মন্তব্য করলেন এই বিষয়ে। রাজ্যপাল লেখেন,

বিদ্যুৎ-জলের মতো পরিসেবা স্বাভাবিক করতে হবে। এখন সংবাদমাধ্যমে অভিযোগের সময় না, ত্রাণের কাজের অগ্রগতির সময়। তিনি আরও লেখেন, রাজনীতির সময় না। অভিজ্ঞ মন্ত্রীরা তু তু মে মে করছেন। আরেকটি টুইট করে তিনি বলেন, দোষারোপ বন্ধ করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাম এলাকায় কাজ করতে হবে। সঙ্গে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেন, আমাকে তথ্য দিন।

সরাসরি রাজ্যের কাজ এবং মন্ত্রীদের সামগ্রিক ভূমিকা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের প্রশ্ন তোলা, তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের দাবি, রাজ্যের কাজ, বিশেষত বিদ্যুৎ পরিসেবা নিয়ে কলকাতা সহ জেলার বিভিননস্থানে স্থান থেকে ক্রমশ অভিযোগ উঠছে। পরিসেবা পাওয়ার দাবিতে অবরোধ হচ্ছে জায়গায় জায়গায়।

রাজ্যপালের টুইট।

এইমুহূর্তে দাঁড়িয়ে কলকাতার ক্ষেত্রে সিএসসিই এবং পৌরসভার মধ্যেও টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে এবং ফিরহাদ হাকিমের মধ্যে মন্তব্যের বিতর্ক চলেছে। সামগ্রিকভাবে, রাজ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে, পরিসেবা স্বাভাবিক আনতে বেগ পেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ফের সেনা নামানোর অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।

রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দল বিজেপি সহ, বামেরাও সরব হয়েছেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। ক্রমশ সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ। বহু গ্রামের পরিস্থিতির সঙ্গীন বলে অভিযোগ উঠছে। এইরকম পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের সরব হওয়া, গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। রাজ্যপালের সরাসরি রাজ্য সরকারকে পরোক্ষে আক্রমন এবং রাজ্যের মন্ত্রীদের কটাক্ষ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।

যদিও এই বিষয়ে রাজ্যের শাসকদলের নেতারা মন্তব্য করতে চাননি। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যে সেনা কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই সমস্যা খানিকটা নিরসন বেশি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরব হচ্ছেন, বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভের প্রকাশ হচ্ছে। মাথা ফাটছে তৃনমূল বিধায়কের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের রাজ্যপালের বক্তব্য প্রকাশ, সামগ্রিকভাবে বিতর্ক বাড়াল বলেই মত তাঁদের।


 

২৭.০৫.২০২০

কলকাতা