বিক্ষোভের আঁচেই এবার আক্রান্ত সাংবাদিকরা! ট্রাম্প প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!

এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক এবং তাঁর হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখনও উত্তাল আমেরিকা! ভয়ঙ্কর করোনা থাবাও যতটা টলাতে পারেনি মার্কিন মুলুককে! তার থেকে বেশি টলিয়ে দিয়েছেন জর্জ ফ্লয়েড! যাঁর মৃত্যুর প্রতিবাদেই আগুন জ্বলেছে ট্রাম্প গড়ে! ইতিমধ্যেই এর আঁচ এসেছে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে ও, ভাঙা হয়েছে গান্ধী মূর্তিও!

এইরকম এক পরিস্থিতিতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সেবা নামানোর হুমকির পরেও উত্তাল থেকেছে এই দেশ! আর ঠিক বিক্ষোভের আবহেই আক্রমনের শিকার হয়েছেন সাংবাদিকরাও। কর্তব্য পালনে বাধা দিচ্ছে ট্রাম্পের পুলিশ, এমনকি শারীরিক আক্রমণ করা হচ্ছে সাংবাদিকদের, এমনই ভয়ানক অভিযোগ তুলছেন তাঁরা! চ্যানেল সেভেনের চিত্র সাংবাদিককে হিড় হিড় করে টেনে সরাচ্ছে ট্রাম্পের পুলিশ, এমন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল দুনিয়ায়! এদিকে ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার একাধিক মহিলা সাংবাদিক ও পুলিশের আক্রমনের শিকার হয়েছেন বা হচ্ছেন বলেই অভিযোগ করেছেন।

ম্যারিনা ট্রেহান মার্টিনেজ নামে এক অতিপরিচিত মার্কিন সাংবাদিক অভিযোগ করেন, তিনি ঘটনা কভার করতে যাওয়ার পর সেখানে আক্রান্ত হন। এমনকি, বারবার বলা সত্বেও তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়। কোনক্রমে বন্ধুর বাড়ি ফিরে বাঁচেন তিনি।

এদিকে , আরেক মহিলা সাংবাদিক নিকলে মান্না অভিযোগ করেছেন, কারফিউ এর সময় সংবাদমাধ্যমের ছাড় থাকলেও পুলিশ হেনস্থা করছে সাংবাদিকদের। এর পাশাপাশি একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তরফে (Aj+) একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, সেখানে একজন মহিলা সাংবাদিক বারবার বলার পরেও তিনি পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। আহত হচ্ছেন। এমনও ছবি দেখা গিয়েছে, বহু সাংবাদিক আহত, রক্তাক্ত হচ্ছেন এই বিক্ষোভের সময়ে! যা দেখে নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে।

এই ঘটনার পর, কৃষ্ণাঙ্গ বিক্ষোভের আঁচে আরও ঘৃতাহুতি হয়েছে। বাড়ছে উত্তেজনা। যার মধ্যেই, সাংবাদিকদের হেনস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বহু দেশ। কেন সংবাদ পরিবেশনে গেলে বারবার আক্রান্ত বা বাধার শিকার হতে হবে পুলিশের দ্বারা, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ!


০৫.০৬.২০২০

ওয়াশিংটন ডিসি


কভারের ছবি সৌজন্যে: টুইটার। আহত সাংবাদিক লিন্ডা ত্রদো এঁর ছবি।