পরিযায়ী শ্রমিক এবং ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষদের নিয়ে যখন চরমে উঠেছে রাজনৈতিক পারদ। যখন, দোষারোপের পালা চলছে এক নাগাড়ে। বারবার, আমি না তুমি? কর দোষ বেশি সেই বিতর্কে মশগুল রাজ্য। ঠিক সেই সময়ে দাঁড়িয়েই এক নজিরবিহীন মন্তব্য করলেন, তৃনমূল সাংসদ দেব। যিনি তৃনমূল সাংসদের থেকে বাংলার চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবেই বেশি পরিচিত।
বরাবর ব্যতিক্রমী অভিনেতা সাংসদ দেব এই প্রসঙ্গে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, ”আমি মনে করি আমাদের কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য ট্রেন পরিষেবা চালু করা উচিত, যাতে সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিক তাঁদের নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছতে পারে এবং কোনও সরকার একে অপরকে দোষারোপ করতে না পারে। যদি অতিরিক্ত ভিড় বা সামাজিক দূরত্ব সম্পর্কে চিন্তিত হই, তবে মদের দোকানগুলিতে কী বেশি ভিড় হচ্ছে না? একবার ভাবুন।” দেবের এই টুইটের পরেই, মন্তব্য করেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র। তিনি বলেন, বাইরে আটকে থাকা পড়ুয়াদের জন্যও এটা প্রযোজ্য। তাতেও সম্মতি জানান দেব।
রাজনৈতিক উত্তাপ। বিতর্ক। প্রতিমুহূর্তে, পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে, করোনা আবহেও বেশি তোলপাড় হচ্ছে রাজ্যে। কখনও অমিত শাহের চিঠি, কখনও রাজ্যের শাসক দলের পাল্টা প্রতিক্রিয়া। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তোপ। সবমিলিয়ে এই ভিন রাজ্যে আটকে থাকা হাজার হাজার মানুষদের নিয়ে এসব চলছে। কিন্তু উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ১০ তীর বেশি ট্রেনের অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য। রাজ্যের তরফে স্বরাষ্ট্রসচিব জানিয়েছেন, বহু মানুষ ছোট গাড়িতে ফিরতে অনলাইনে এবং সরকারের দেওয়া বিভিন্ন পদ্ধতিতে আবেদন জানিয়েছেন, এবং অনেকেই ফিরেছেন। যাঁদের উপযুক্ত স্বাস্থ্যপরীক্ষা সহ যাবতীয় ব্যবস্থা সরকারের তরফে করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই, রাজ্যের তরফে শ্রমিক ফেরাতে আরও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। যদিও, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ অভিযোগ করেছেন, মহারাষ্ট্র রাজ্যে আটকে থাকা একাধিক বাংলার বাসিন্দাদের ফেরাতে রেলের তরফে ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও রাজ্য এখনও অনুমোদন দেয়নি।
______________________________________
১০.০৫.২০২০
কলকাতা