‘নিয়ম মেনে হলেও নিতেই হবে পরীক্ষা’, দাবি এবিভিপির।

সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং বিপর্যয়কে টেনে কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের পরীক্ষা না হওয়ার দাবি তুলছেন হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রীরা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তৈরি হয়েছে গ্রুপ। এর মাধ্যমে প্রতিবাদের ট্রেন্ড উঠেছে! দাবি উঠছে, এই পরিস্থিতিতে জীবন যখন বিপন্ন, তখন পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব কীভাবে! কিন্তু এইরকম এক পরিস্থিতিতেই বিপরীত পথে হাঁটল বিজেপি প্রভাবিত ছাত্র সংগঠন এবিভিপি অর্থাৎ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ! পরীক্ষা নিতেই হবে, যেকোনও উপায়ে নিয় ম মেনে হলেও পরীক্ষা র পক্ষেই সওয়াল করছেন তাঁরা। একপ্রকার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে র সঙ্গে তালমিলিয়ে বলছেন, যেকোনোভাবেই হোক পরীক্ষা হওয়া প্রয়োজন! এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের ফিস মকুব সহ একাধিক দাবিতে রাজ্যপাল কে ডেপুটেশন ও দেবেন তাঁরা।

এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অবস্থান করেন এবিবিভিপি নেতৃত্ব! বিভিন্ন বিভাগের ফিস একবছরের জন্য এবং আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের দুবছরের জন্য ফিস মকুব সহ ইউজিসি-র গাইডলাইন মেনে পরীক্ষার দাবিও তোলেন তাঁরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এবিভিপির সভাপতি উৎসব চক্রবর্তী খবর ওয়ালাটিভি. কম’কে জানান, “পরীক্ষা নিতেই হবে। মার্চ পর্যন্ত পড়াশুনা হয়েছে। অনলাইন ক্লাস হয়েছে। সেখানে যুক্ত ছিল অনেকেই। পাস করিয়ে দেওয়ার কোনো বিষয় যেন না হয়। কিন্তু নিয়ম মেনে পরীক্ষা হোক। পরীক্ষা যেন নেওয়া হয়, পরীক্ষা যেন উঠে না যায়। পরবর্তীকালে যদি প্রাকৃতিক বিপর্যয় হয়, ৭ দিনও বন্ধ থাকে তাহলেও এমন দাবি উঠতে পরে। এটা যেন না হয়। রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন দিচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, ”ফিস ছাড়া হোক সরকারি ক্ষেত্রে। বেসরকারি ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ মকুব না, একটু ছাড় বা কমিয়ে দেওয়া হোক। যতটা সম্ভব কমানো যায় দেখা হোক।”

এছাড়াও তিনি জানান, ”যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য দাবি রেখেছি, হোস্টেলের জন্য এক পয়সাও যেন না নেওয়া হয়। বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে অনেক ফিস, সেটা না নেওয়া হয়। আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আগামী দু’বছর যেন না নেওয়া হয় ফিস!”

তবে এই পরিস্থিতিতে একটি ছাত্র সংগঠনের পক্ষে নিয়ম মেনে হলেও পরীক্ষা নেওয়ার দাবি, অনেকেই ভালোভাবে নিচ্ছেন না। কেউ কেউ বলছেন, এই পরিস্থিতি আর কোনওদিন ফিরবে না এমন আশায় করছেন সকলেই, সেখানে দাঁড়িয়ে নজিরবিহীন এই অবস্থায় যখন বাঁচা-মরার প্রশ্ন আসছে, সেখানে নিয়ম মেনেও পরীক্ষা নেওয়ার দাবি খুব একটা ছাত্রদরদী না!