আনলক ওয়ানের দ্বিতীয় দিনে শহরে বাড়ছে সাইকেল চলাচল। গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি এবং যাবতীয় দুর্ভোগ এড়াতে , সর্বোপরি করোনা সংক্রমণের কথা চিন্তা করে, সাবধানতার স্বার্থে সাইকেলের ওপরই ভরসা করতে চাইছে শহরবাসী।কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এখানেই,কলকাতা শহরে ৬২ টি রাস্তার ওপর সাইকেল চলাচলের যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে,এই পরিস্থিতিতে তার ভবিষ্যৎ কী? নিষেধাজ্ঞা কী প্রত্যাহার করা হবে পরিস্থিতির সুবিধার্থে নাকি তা বলবৎ থাকবে আগের মতোই? যদিও এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ দেখা যায়নি এবং সেই সুযোগে নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে রাজ্যবাসী।
কলকাতার পথে সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধজ্ঞার শুরু ২০০৮
সালে। প্রথমে কলকাতা পুলিশ শহরের গতি বাড়ানোর কথা বলে ৩৮টি রাস্তায় সাইকেলকে নিষিদ্ধ করেছিল। ২০১৪ সালে এই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬২-তে। এই তালিকায় বিবাদী বাগ, পার্ক স্ট্রিট, রেড রোড, ক্যামাক স্ট্রিট, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের নাম রয়েছে। ওই সব পথে সাইকেল দেখলে চালককে পুলিশ ১০০ থেকে ১৫০ টাকা জরিমানা করে।
যদিও লকডাউন উত্তর এই পরিস্থিতিতে চাকুরী তে হাজিরা দিতে পথে বেরতেই হচ্ছে জনসাধাণকে, ফলত পার্কস্ট্রীট, ধর্মতলার মতো অফিসপাড়ায় পৌঁছাতে রোডের ওপর দিয়ে চলছে দেদার সাইকেলের যাতায়াত। কলকাতায় যেখানে সাইকেল চলাচলের জন্য যথার্থ বাইলেন নেই, সেখানে এই দীর্ঘপথ সাইকেলে পৌঁছাতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষকে।
এই আদ্রতাপূর্ণ আবহাওয়ায় সাইকেলে যাতায়াত যে যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ , সে বিষয় কেও নিতান্তই ফেলে দেওয়া যায় না। তা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গ মোটর ভেহিকেল অ্যাক্ট এর নির্দেশিকা অমান্য করেই চলেছে, হাওড়া স্টেশন থেকে গড়িয়া ব্রিজ,শহরের ব্যস্ততম,দ্রুততম রাস্তায় দেদার সাইকেলের দৌরাত্ম।
Rupsha Das, Kolkata