কোয়ারান্টাইনেই জন্মরোধ! বিনামূল্যে কন্ডোম দিল সরকার!

লকডাউনে এমনিতেই শিশু জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে। তা নিয়ন্ত্রণ করতে এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করছে রাজ্যগুলি। বিহারের বিভিন্ন কোয়ারান্টাইন সেন্টারে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকরা কন্ডোম ও গর্ভ নিরোধক ওষুধ পাচ্ছে রাজ্য স্বাস্থ্য সমিতির পক্ষ থেকে। দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যের মধ্যে বিহারেও শিশু জন্মের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেশের মধ্যে মহিলা পিছু শিশু জন্মের হার সবচেয়ে বেশি বিহারে। ২০১৬ সালের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিবার সমীক্ষায় জানানো হয়েছে ৩.৪ শতাংশ। রাজ্যের স্বাস্থ্য সমিতির সচিব মনোজ কুমার বলেন, “আমরা কন্ডোম ও গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করছি, কারণ সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে মার্চ ও নভেম্বর মাসে হোলি, দিওয়ালি ও ছট পুজোর সময় অগনিত পরিযায়ী গ্রামের বাড়়িতে ফেরেন। এরপরই শিশু জন্মের হার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বেড়ে যায়,যদিও বেশ কয়েকমাসে তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে।”

স্বাস্থ্য সমিতির সচিব আরও জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমানে কন্ডোম এবং গর্ভনিরোধক ওষুধ বিলি করা হচ্ছে। কারন, দেশের মধ্যে জন্মের হার সবচেয়ে বেশি বিহারে। এমনকি, স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে সরাসরি অর্থের ব্যবস্থার দায়িত্ব রয়েছে তাদের। সেরাজ্যের কতজন লোক রোজগারের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়েছেন, তার কোনও সরকারি হিসেব নেই। তবে মার্চে লকডাউন ঘোষণার পর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতিশ কুমারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ১,০০০ টাকা আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন করেছেন রাজ্যের প্রায় ২৯ লক্ষ মানুষ।

অন্যদিকে, যেহেতু লকডাউন শিথিল হচ্ছে তাই ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা দেশে, নিজেদের গ্রামে ফিরছেন। ইতিমধ্যেই বিহারে নিজেদের বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, সরকারি হিসেব অনুযায়ী। তাঁদের ফেরার জন্য শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে৷ আন্তরাজ্য যাতায়াত চালু হওয়ার পর থেকে সরকারের হিসেব অনুযায়ী, হেঁটে এবং বিভিন্ন গাড়িতে করে দেশে ফিরেছেন প্রায় ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক।


০৪.০৬.২০২০

PB