চাঁচল, ৪ জুন: মালদহের মালতিপুর বিধানসভার চন্দ্রপাড়া পঞ্চায়েত এলাকার জানিপুর গ্রামে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম বোমাবাজি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার। বোমাবাজির সঙ্গে গুলিও চলে বলে অভিযোগ। বোমার আঘাতে মৃত হয়েছেন সাদ্দাম হোসেন (৩২) নামে এক ব্যক্তির। দেহটিকে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠিয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।সূত্র মারফত জানা গেছে মৃত ব্যক্তিটি স্থানীয় তৃণমূল কর্মী।
ঘটনাস্থলে চাঁচল ও কল্কিমোর ক্যাম্পের বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। সমস্ত ঘটনা নিয়ে টানটান উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সাতসকাল থেকেই এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে দুই পক্ষ।বোমার আঘাতে মারা যান একজন।
এলাকার বিভিন্ন জায়গায় পরে রয়েছে সুতলি বাধা বোম, বিভিন্ন জায়গায় বিস্ফোরণের চিহ্নও মিলেছে। সমস্ত ঘটনার পর জনমানব শূন্য হয়ে রয়েছে পুরো এলাকা। এদিকে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ।
তবে ঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো সে বিষয়ে বলতে গিয়ে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় জানান জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে খুন করেছে স্থানীয় কংগ্রেস কর্মীরা। মৃতের মা জানান জমি নিয়ে বিবাদ আর তার জন্য ছেলেকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানান। এরপরেই বোম এর আওয়াজ পাওয়া যায়।
যদিও এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। মালতিপুর বিধানসভার কংগ্রেসের বিধায়ক আলবেরুনি জুলকারনাইন জানান, ঘটনার সাথে রাজনৈতিক কোনো বিষয় যুক্ত নেই, যেটা শুনতে পেলাম জমি নিয়ে বিবাদ ছিল। আগেও এই ঘটনা নিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জানতে গেলে নাম না জানিয়ে এক মহিলা জানান, বোমা নিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ফেটে মারা যান তিনি।
যদিও এব্যাপারে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বাবলা সরকার জানান, মৃতব্যক্তি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাকে খুন করেছে কংগ্রেস কর্মীরা। পুরো বিষয়টি নিয়ে আমাদের জেলা সভানেত্রী দেখছেন। পুলিশ প্রশাসনকে বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এদিন এলাকায় টলহদারি চলছে পুলিশ বাহিনীর। ঘটনার তদন্তে রয়েছে চাঁচল থানার পুলিশ।
রিপোর্ট: মহম্মদ নাজিম আক্তার
হরিশ্চন্দ্রপুর, মালদা