হার নয় আর! এবার কংগ্রেসের হাতধরে রাজ্যসভার স্বপ্নপূরণের সম্ভাবনা ‘পরাজিত’ বিকাশের।

কলকাতা: প্রার্থী তো আগেই ঘোষিত হয়েছেন, কিন্তু এবার, জয়ও প্রায় নিশ্চিত করে ফেললেন তিনি। তৃনমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর, তৃণমূলের তরফে পঞ্চম আসনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আর কংগ্রেসের তরফে বন্ধুতা-রক্ষায় বিকাশেই সমর্থন জানানোর সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। তাই, সব অঙ্ক ঠিকঠাক থাকলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হারতে হারতেও ফের জয়ের স্বাদ পেতে পারেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

এক সময়ের, কলকাতা কর্পোরশনের প্রাক্তন মেয়র, আইনজীবী, লোকসভায় যাদবপুরের বাম-কংগ্রেস জোটের, পরাজিত প্রার্থী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। শিক্ষা, কাজ সবমিলিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার জন্য বেশ ‘উপযুক্ত’ মুখ তিনি। এবার, ভরসার ‘হাত’ তাঁর মাথায় থাকলে, সোমেন মিত্র’দের সাহায্যে, জিতেই তাঁর প্রবেশ ঘটতে পারে দিল্লির সংসদীয় রাজনীতির অলিন্দে!

যদিও, সিপিএমের মাঠে ঘাটে থাকা কর্মীদের একাংশের ইচ্ছাকে প্রায় ফুৎকারে উড়িয়ে,

সীতারামের মতো দিল্লির অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য মুখে

কান না দিয়ে, সেলিমের জল্পনায় প্রায় পাত্তা না দিয়েই, পলিটব্যুরো থুড়ি সিপিএমের শীর্ষ নেতারা বিকাশেই ভরসা রেখেছেন!

প্রসঙ্গত, নারী দিবসের দিন, ৫ আসনের মধ্যে ৪ আসনের প্রার্থীদের নাম ট্যুইট করেন তৃনমূলনেত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নারীশক্তি ও তাঁর দলের ভূমিকা মনে করিয়ে লেখেন, ‘আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, মৌসম বেনজির নূর, অর্পিতা ঘোষ, দীনেশ ত্রিবেদী ও সুব্রত বক্সিকে তৃনমূল রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করেছে। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, নারীর ক্ষমতায়নের জন্য আমার যে ধারাবাহিক প্রচেষ্টা , তারই অঙ্গ হিসেবে আমাদের অর্ধেক প্রার্থী মহিলা।’ তৃনমূলনেত্রীর এই ‘মাস্টারস্ট্রোকে’র পর, কার্যত আলোচনা শুরু হয় তৃণমূলের নতুন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। তারকা মুখে ভরসা করা, নতুনদের উপর ভরসা করা তৃনমূল টিকিট দিচ্ছে, লোকসভায় হেরে যাওয়া প্রার্থীদের! মূলত নজর দিচ্ছে সংগঠনে! এমনই আলোচনা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলের একাংশের মধ্যে। মালদহে মৌসম বেনজির নূর বা বালুরঘাটে অর্পিতা ঘোষ, দীনেশ ত্রিবেদীরা মাটি আঁকরে পড়ে ছিলেন হারের পরেও, এটা তারই পুরস্কার বলে ধারণা ওই রাজনৈতিক মহলের। আর সুব্রত বক্সি, বরাবরই দলের বিশ্বস্ত সৈনিক।

যদিও, বাকি থাকা পঞ্চম আসন নিয়েই জল্পনা ছিল সবচেয়ে বেশি। দলছুট বিধায়কদের আইনগত জটিলতায় জড়ানোর সম্ভাবনা, বিজেপির নির্বাচিত ৬ বিধায়কের ভোটদানে বিরত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হলে, পঞ্চম আসনে জিততে লাগবে মাত্র ৪৬ টি ভোট, যদি সবাই ভোট দেন তবুও ৪৯ জনের ভোট পেলেই হবে। বাম-কংগ্রেস মিলিয়ে প্রায় সেই ভোট সংখ্যা আছে। তাহলে, জল্পনা চলছিল, সীতারাম ইয়েচুরি বা মহাম্মদ সেলিমের মতো, বিশেষত, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছের নেতা সীতারাম ইয়েচুরিকেই প্রার্থী করতে পারে সিপিএম। যে প্রার্থীকে জেতাতে সাহায্য করতে পারে কংগ্রেস‌ও। কিন্তু সবকিছুতে জল ঢেলে, বেঁকে বসে সিপিএমের পলিটব্যুরো, ঠিক হয় বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যকেই পাঠানো

হবে রাজ্যসভায়।আগামী ১৩ মার্চ রাজ্য বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৬ মার্চ মনোনয়নপত্র পরীক্ষার দিন, ১৮ তারিখ প্রত্যাহার করা যাবে সেটি। আর যদি পঞ্চম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, তাহলে ভোট হবে ২৬ মার্চ, সব ফলাফল প্রকাশ করা হবে ওইদিনই।

১০.০৩.২০২০

59 views