আধুনিক সমাজ। শিক্ষিত মানসিকতা। নাহ্, কথাগুলো কতটা সত্যি, তা একটি ঘটনা জানলেই বোঝা যাবে। কেমন? এক আদিবাসী পরিবার বাদ করছে একটি স্কুলের শৌচালযয়ে। ‘কোয়ারেন্টাইন,’
করা হয়েছে তাঁদের। বাড়িতে না, স্কুলের শৌচালয় তাঁদের থাকার জায়গা হয়েছে। আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই ঘটনাটি, মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার দেবীপুর গ্রামের।
অভিযোগ, ওই আদিবাসী পরিবারটি শুক্রবার রাজগড় জেলা থেকে নিজেদের গ্রামে ফিরেছিলেন এবং তাঁদের করোনা সংক্রমণের ভয়ে শনিবার কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে। কিন্তু থাকার জায়গা জোটে ওখানেই।
ওই পরিবারের একজন সদস্যের, বিদ্যালয়ের শৌচাগারে খাবার খাওয়ার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় দানা বাঁধে বিতর্ক। এই ব্যাপারে বিরোধী পার্টি কংগ্রেস, প্রাক্তন সাংসদ এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে কটাক্ষ করেন।
প্রসঙ্গত সিন্ধিয়া তাঁর পিতার পরে বহু দশক ধরে গুনা লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতে এসেছেন। কাজেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে এই ঘটনা নিয়ে সরব কংগ্রেস।
প্রশাসন সূত্রে খবর, ওই আদিবাসী দম্পতি এবং তাদের দুই সন্তান সহ পুরো পরিবারকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় গ্রামবাসী। বলা হয় করোনা টেস্ট না করলে ঢুকতে দেওয়া হবেনা গ্রামে। তখন তাদের স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
রবিবার সেখানে স্বাস্থ্য পরিদর্শকের টিম যায় এবং ওই ভদ্রলোককে শৌচাগারে খাবার খেতে দেখে ছবি তুলে পাঠিয়ে দেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। তারপর ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়।
এরপরই গুনা জেলা প্রশাসকের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ওই আদিবাদী দম্পতির মধ্যে কলহ হয় এবং ভদ্রলোক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে মদ্যপান করেছিলেন এবং খাবার নিয়ে তিনি সোজা শৌচাগারে চলে যান। ঘটনাচক্রে সেইসময় স্বাস্থ্য পরিদর্শক সেখানে আসেন এবং ভুল বোঝেন।
আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলার দেবীপুর গ্রামের। ওই আদিবাসী পরিবারের জন্যে যথার্থ ব্যবস্থাই করা হয়েছে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়েই, এও জানানো হয় প্রশাসনের তরফে।
_________________________________
০৫.০৫.২০২০
মধ্যপ্রদেশ
স্বাতী সেনাপতি