সাংবাদিকদের সম্মান করি, তবে ওঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেব, পুলিশে অভিযোগ প্রসঙ্গে বললেন কিরণ দত্ত।

বিতর্ক শুরু হয়েছিল, ভাইরাল চা কাকু সম্পর্কে একটি সংবাদ প্রতিবেদন নিয়ে। সেখানে, কিরণ দত্তের করা কিছু মন্তব্য সঠিক ছিলনা, তা কুরুচিকর ছিল বলে, এই মাসের ৭ তারিখ কলকাতার গর্ফা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, ওই সংবাদ প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ধৃতাংশু দাঁ।

এবার ওই অভিযোগ সম্পর্কে, প্রায় দুদিন পর, মুখ খুললেন, বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবের কিরণ দত্ত। তিনি তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল এ এবং নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন,যেখানে সম্পূর্ণ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ” কয়েকমাস আগে আমার এবং এক অভিনেতার একটা ঝামেলা হয় যেটা আমরা পরে নিজেরা মিটিয়ে নিই। কিন্তু সেই সময় একটা নিউস পোর্টাল আমার বক্তব্যকে কুরুচিকর এবং আক্রমনাত্মক বলে দাবী করেন। কোনো নিউস পোর্টাল এভাবে নিজের ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারে বলে আমার জানা ছিল না।দুদিন আগে এই একই নিউস পোর্টাল চা কাকুকে নিয়ে একটা নিউস করে এবং জানায় জানতা কার্ফিউ এর দিন বেরোনোর জন্য ট্রোল করে কিভাবে মানুষ সেই চা কাকুর জীবন খারাপ করে দিয়েছে, এবং প্রশ্ন করে জানতা কারফিউ এর দিন কাকুর বাইরে বেরোনো নিয়ে মানুষ না ভেবেই কেন তার সমালোচনা করলো ছোটো করলো! এরপরে আমি সেখানে আমার পার্সোনাল প্রোফাইল থেকে একটা কমেন্ট করি, যেখানে কোথাও কারো নাম নিইনি। নীচে সেই কমেন্টের ছবি রইলো। আমি বলেছি ওই কাকু সরল মানুষ, ওনাকে মিষ্টি লেগেছিলো সবার তাই ওনার কথাটা ভাইরাল হচ্ছিলো ওনাকে বাজে বলতে আমি কম মানুষকেই দেখেছি, তাই ওনার জীবন সবাই শেষ করে দিল এরকম কথা না বলাই বোধ হয় ভালো, আর আমি ওনাকে আমার মতো সাহায্য করবো কথা দিই এবং সেই চা কাকুর ছেলের সাথে কথাও হয় আমার যেকোন সমস্যায় আমার ফোন করতে বলি। ওই পোর্টালের মহিলা রিপোর্টার আগেও এরকম নিজের মতামত দিয়েছেন নিউসের বদলে, যেকোনো খবরে আমার ব্যক্তিগত মতামত বোধ হয় আমি দিতেই পারি। এরপর ওই নিউস পোর্টালের রাইটার এডিটররা নিজেদের পার্সোনাল প্রোফাইল থেকে আমি টাকার জন্য এসব করি, আমি শুধু পয়সা চিনি এবং একাধিক ভাবে আমার ছবি দিয়ে পার্সোনাল অ্যাটাক করতে থাকে এবং সেখানে তাদের অনুগামীরা আমায় ‘বাল গাই’ ‘বালের ইউটিউবার’ ‘এর কাজ বেশ্যাবৃত্তির চেয়েও নিম্নমানের’ এসব বলতে থাকে। তাদের দাবী আমার কমেন্ট টায় অশালীন ভাষার প্রয়োগ ছিল এবং আমি সেই মহিলার সম্মান হানি করেছি।আমার কমেন্ট টা দেখে আপনারাই ঠিক করুক অশালীন ভাষা ছিল কিনা! জঘন্য রিপোর্টার কি অশালীন ভাষা? না বালের ইউটিউবার অশালীন ভাষা? ওদের নিউস পোর্টালে যখন আমার মন্তব্য কুরুচিকর বলা হয়েছিল তখন? ‘অল্প বয়সে আমার পেছন পেকে গেছে’ ‘আমার ভাবনা চিন্তা বিষ্টার চেয়ের দুর্গন্ধযুক্ত’ ‘আমি সস্তার নেশা করে থাকি ‘ ‘আমার ওপর থুথু দেওয়া উচিৎ ‘এসব পাবলিকলি লিখছেন ওনাদের নিউস পোর্টালের সাথে যুক্ত মানুষেরা,পার্সোনাল অ্যাটাক কে করছে? আমি নিউসের নীচে কমেন্ট করেছি, ওই পোর্টাল এই নিয়ে মতামত দেবে। ওনার নিজেদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে কেন এসব লিখছেন! আমি নিজেই সেই মহিলার নাম জানিনা তাই তাকে পার্সোনালি অ্যাটাক করবোই বা কি করে, তার ছবি বা নাম আমি কোথাও দিই নি। একটা নিউসের নীচে কমেন্ট করেছি নিজের পার্সোনাল প্রোফাইল থেকে, পেজ থেকেও নয়। কয়েক ঘন্টা পর যখন দেখি অনেকেই সেখানে আমাকে সাপোর্ট করে কথা বলতে শুরু করেন তখন আমি আমার কমেন্ট ডিলিট ও করে দিই অযথা ঝামেলা না করে।কিন্তু এই নিউস পোর্টালের সাথে কিছু মানুষ তার পর থেকেই আমার শিক্ষা, আমার উপার্জনের উপায় সব কিছু নিয়ে আমার ছবি সহ আমাকে পাবলিকলি হ্যারাস করতে থাকে। এতে একাধিক মানুষ আমাকে গালাগালও করতে থাকেন। আমি ইতিমধ্যে এনাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবেছি সমস্ত স্ক্রিনশট নিয়ে। আপনাদের মতামত জানাবেন।” আরেকটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে তিনি লেখেন, “অনেকের হয়তো মনে হয়েছে সাংবাদিকতা নিয়ে আমার সমস্যা আছে। সেটা একদমই নয়, সাংবাদিকতা নিয়ে বলার মতো যোগ্যতা আমার নেই। আমার শুধু ওই নির্দিষ্ট নিউস পোর্টালের কিছু সাংবাদিক ও মানুষদের বক্তব্য নিয়ে সমস্যা কারন তারা আমার নামে পার্সোনালি অ্যাটাক করে পরে আবার সেসব ডিলিট ও করেছেন। অনেক সাংবাদিক দাদা দিদিদের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু জানতে পারি, শিখতে পারি। তারা অনেক জানে আমার থেকে, আমাকে অনেক সাহায্য করে, তাই ওই পেশা নিয়ে বলার মতো বড় মুখ আমার নেই। অনেক সাংবাদিক দাদা দিদিদের দেখলাম ওদের কথায় আমার ওপর বেশ ক্ষুব্ধ হতে, আবার অনেকে ফোন করে পাশেও থেকেছেন বুঝেছেন।কাজেই আমায় ভুল বুঝবেন না। আমার সমস্ত পদক্ষেপ শুধুমাত্র ওদের বিরুদ্ধেই হবে।”

১১.০৪.২০২০

কলকাতা