সমগ্র দেশে না, কিছু অংশে বহাল থাকতে পারে সম্পূর্ণ লকডাউন, নজর বেশি রেড-জোনে: সূত্র

সোমবার দেশের সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী। মূলত, দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয় ওই বৈঠকে। সব রাজ্য বলতে না পারলেও, বহু রাজ্যের তরফে বক্তব্য পেশ হয় ওই বৈঠকে। কিন্তু সূত্র মারফত একপ্রকার নিশ্চিত জানা যাচ্ছে, তৃতীয় দফায় দেশে লক ডাউন বাড়ানো হবে। মূলত, বিভিন্ন জন ভিত্তিক এই লকডাউনের কার্যকারিতা থাকবে। অর্থাৎ রেড-জোন, অথবা ‘হটস্পট’ অঞ্চলগুলোতে সম্পূর্ণ লকডাউন চললেও, বাকি অংশে শিথিল হওয়ার সম্ভাবনা লকডাউনের। যদিও, বহু রাজ্যই এই লকডাউনের পক্ষে সওয়াল করে ওই বৈঠকে।

প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে গোটা দেশ করোনার কবলে। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে ২৮ হাজার ছাপিয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯০০ ছাড়িয়েছে। চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। এমত পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজ্যের মুখমন্ত্রীদের সঙ্গে সোমবার ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের করোনা পরিস্থিতি, আর্থিক পরিস্থিতি, লকডাউনের সময়সীমা নিয়ে পর্যালোচনা, টেস্ট কিট সহ একাধিক জরুরী বিষয়ে আলোচনা সহ প্রত্যেক মুখ্যমন্ত্রীর অভিমত জানতে চান তিনি। ওই বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে, একাধিক জরুরি তথ্য এবং সিদ্ধান্ত। জানা যায়, অতি স্পর্শকাতর অর্থাৎ ‘রেড জোন’ গুলির জন্যে একরকম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। অপরদিকে ‘অরেঞ্জ জোন’ এবং ‘গ্রীন জোন’ এর জন্যে নিতে হবে আলাদা আলাদা পদক্ষেপ।

যেসব জায়গায় করোনার প্রকোপ কম, বা একেবারেই হয়নি সেইসব জায়গা গুলিতে শর্তসাপেক্ষে লকডাউন শিথিল করা যেতে পারে। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীদের তিনি বলেন প্রতিটি ‘রেড জোন’ এ যাতে ধীরে ধীরে প্রকোপ কমে সে চেষ্টা করতে হবে।

এদিন, প্রধানমন্ত্রী বলেন, মার্চ মাস থেকে ভারতে করোনার প্রকোপ শুরু হলেও কেবলমাত্র সঠিক সময়ে লকডাউন এবং দক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বাকি দেশগুলির মত ভারতের অবস্থা অত সঙ্কটজনক হয়নি। হাজার হাজার মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। তবে ভবিষ্যতেও এই মহামারীর প্রকোপ জারি থাকবে তাই মাস্ক ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব সহ বাকি ব্যাপার গুলির দিকে অবশ্যই নজর দিতে হবে। লকডাউন বাড়ানোর প্রসঙ্গে জানা যাচ্ছে ওড়িশা, গোয়া সহ একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লকডাউন বৃদ্ধি করার ব্যাপারে সহমত জানিয়েছেন। তবে গ্রীন জোন চিহ্নিত এলাকাগুলিতে যাতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালু করা যায় সে ব্যাপারেও একদফা আলোচনা হয়। আর্থিক প্যাকেজ ছাড়াও কেন্দ্রীয় সরকার যাতে রাজ্য সরকারকে ওষুধ এবং ভেন্টিলেটর এর পর্যাপ্ত যোগান দেয় সেই ব্যাপারেও আলোচনা হয় ওই বৈঠকে।

নয়াদিল্লি
Picture Courtesy: ANI
রিপোর্ট: স্বাতী সেনাপতি