নয়াদিল্লি: একধাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তরতরিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে নতুন করে আক্রান্তের। বিদেশ ফেরত ছাড়িয়ে করোনা থাবা বসিয়েছে অন্যদের মধ্যে। এই রাজ্যের দমদমের এক বাসিন্দার শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে, যাঁর সঙ্গে বিদেশের কোনও সংযোগ নেই বলে খবর। এভাবেই ছড়াচ্ছে করোনা। ক্রমশ, একের পর এক মানুষের শরীরে দানা বাঁধছে। আশঙ্কা আর কিছু মানুষের অসচেতনতা ভারতকেও খারাপ ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকেরই।
‘প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো’র তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি।
আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩০ এর কাছাকাছি। আর ভারতে সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ৬! এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে জনতা কারফিউ চলছে দেশজুড়ে। ট্রেন বন্ধ। বাস কম। রাস্তা প্রায় ফাঁকা। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। কিন্তু কোথাও কোথাও সচেতন তো দূর, যেন ছুটির মেজাজেই রয়েছেন কেউ কেউ।
এই অবস্থা যে মারাত্মক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে, তার আঁচ পেতে শুরু করেছেন চিকিৎসকরা। এবার রেলেও পড়ল সেই আঁচ। দেশের যোগাযোগের সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ মাধ্যম, রেল পরিসেবা সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রেল। আজ বন্ধ থাকবে বলা হলেও, রেলের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিত থাকবে সমস্ত যাত্রীবাহী ট্রেন। অর্থাৎ দূরপাল্লা থেকে লোকাল ট্রেন, চলবে না কিছুই। শুধুমাত্র চলবে পণ্যবাহী অর্থাৎ মালবহনকারী ট্রেন। ইতিমধ্যেই সেকথা জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল।
প্রসঙ্গত
এই রাজ্যের তরফে , মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা আগেই রেলকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন রাজ্যের সীমানায় বাইরের রাজ্য থেকে ট্রেন যেন না পাঠানো হয়। প্রায় একইরকম অনুরোধ করে, ঝাড়খণ্ড সরকার।
প্রসঙ্গত, আজকের সফল জনতা কারফিউ এর পর, এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষজ্ঞ রা বলছেন, ভারত পৃথিবীর ব্বহু দেশের মতো, শাট ডাউনের দিকেই এগোচ্ছে। যোগাযোগের সর্ব বৃহৎ মধ্যমের এভাবে স্থগিত করে দেওয়া সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের পর, জরুরি পরিষেবা বা কেউ অসুস্থ হলে তাঁর কী হবে, সরকার তা নিয়ে কী ভাবছে, সেটি ভেবেও আতঙ্কিত অনেকেই। কিন্তু অভিযোগ, যাঁরা সচেতনতা দেখাননি, তাঁদের জন্য ই ভুগতে হচ্ছে আপামর জনসাধারণকে।
এদিকে রাজ্যের তরফে, সরকারি বাস বন্ধ হতে পারে। খুব সামান্য বা একদমই না চলার সম্ভাবনা বেসরকারি পরিবহনের রয়েছে বলে খবর সূত্রে।
নয়াদিল্লি ও কলকাতা
২২.০৩.২০২০
ছবি সৌজন্যে: রেল