লকডাউন এমনই রোজগার বন্ধ প্রায় সমস্ত সাধারণ মানুষ সহ ছোট বড় সংস্থার। কোটি কোটি মানুষ এই মুহূর্তে কর্মহীন হয়ে গৃহবন্দি। একদিকে টাকা নেই হাতে, অন্যদিকে জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এমত অবস্থায় সাধারণ মানুষ সহ সমস্ত ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে বিদ্যুতের বিল মকুবের আর্জি জানিয়ে প্রতিবাদের পথে নামবে বঙ্গ বিজেপির যুব মোর্চা সংগঠন। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই খবর প্রকাশ করেছে বিজেপির যুব মোর্চা। তাঁরা জানিয়েছেন ২০২০-২০২১ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক বিল মকুব করতে হবে নচেৎ তাঁরা সাধারণ মানুষের হয়ে প্রতিবাদে সরব হবেন।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড ১৯ মহামারিতেও কেন্দ্রীয় সরকার আর্জি জানিয়েছিল প্রতিটি সংস্থাকে যাতে সাধারণ কর্মীদের বেতন না কাটা হয়। ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প সংগঠন গুলি সেগুলির মান্যতা দিয়েছে। কারো বেতন কাটা হয়নি। এমত অবস্থায় তাদের উপর বিদ্যুতের বিলের বোঝা চাপিয়ে দেওয়াটা অমানবিক।
লকডাউনের ফলে রোজগারের রাস্তা প্রায় বন্ধ। শহরাঞ্চলে এবং গ্রামে কাজকর্ম বন্ধ। সাধারণ মানুষ এবং মাঝারি এবং ক্ষুদ্র দপ্তরের হাতে পুঁজিও কমে এসেছে। এই সময়ে দাঁড়িয়ে বিদ্যুতের বিল মেটানো ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ এরই সামিল।
বিশেষত যাঁরা গরিব, ছোট ব্যবসায়ী, দিনমজুর বা কৃষক তাঁদের ক্ষেত্রে অন্তত এই দুর্দিনে এককালীন বিদ্যুৎ বিল মকুব করা ভীষণ জরুরী। পশ্চিমবঙ্গে বিদ্যুতের বিল বেশ খানিকটা চড়া, চাহিদার তুলনায় যোগান ও বেশি। তাই বিদ্যুতের বিল মকুব করলে আদতে তা সাধারণ মানুষ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপকারে লাগবে।
রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিৎ সরকার এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান ইমেইল মারফত এই মর্মে একটি আবেদন পত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলেও তাঁর কাছে থেকে কোনো উত্তর আসেনি। ২৬মার্চ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় বিদ্যুতের মিটার চেক করা হবে। বিজেপি এর তীব্র নিন্দা করছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ করেছে বিজেপি। নচেৎ লকডাউনের সমস্ত বিধি নিষেধ মেনেই প্রতিবাদে নামবে বিজেপি। এমনটাই প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যাচ্ছে।