রক্তের পুলওয়ামার বর্ষপূর্তি। ভালোবাসা ছেড়ে শোকস্মৃতিতেই মশগুল দেশ!

ভালোবাসার দিন। সেদিনও উদযাপনে মেতেছিল দেশ। কিন্তু বিকেল গড়াতেই বিমর্ষ চারিদিক। নিমেষেই অন্ধকার নেমে এল গোটা ভারতবর্ষ জুড়ে। রক্ত-রক্ত আর রক্ত।জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামার উপত্যকার রাস্তায় ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ভারতের কিছু সন্তানের দেহের অবশিষ্ট অংশ।

এইরকমই এক ভয়াবহতার সাক্ষী হয়ে ছিল দেশবাসী। ২০১৯ এর ১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটে গিয়েছিল এই ঘটনা। প্রায় ৪০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন। আকাশ-বাতাস কম্পিত হয়েছিল মায়েদের কান্নার শব্দে। দিন কেটেছে। সময়ের স্বাভাবিকতা বজায় রেখে, বছর ঘুরেছে। অভিনন্দন বর্তমান, তাঁকে উদ্ধার, বালাকোটে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক! স্ট্র্যাটেজি, ইস্যু, নির্বাচন- ঝিলম নদীতেও গড়িয়ে গিয়েছে অনেক জল। ক্রমশ আরও খারাপ হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক। প্রতিনিয়ত সীমান্তে এখনও সৃষ্টি হচ্ছে উত্তেজনা। প্রায় মাঝে মাঝেই শহীদ হচ্ছেন এক বা একাধিক। ইমরান খান চালাচ্ছেন তাঁর কাজ। জঙ্গী লেলিয়ে, হাফিজের কম সাজার ব্যবস্থা করে, ভারতের ক্ষতির চেষ্টা করে, ভালোই আছে তাঁরা। টমেটোর দাম বেড়ে, তেলের দাম বেড়ে, বেকারের বৃদ্ধিতে এটা করেই ভালো আছেন তাঁরা। কিন্তু ভারত? পুল‌ওয়ামার শহীদেরা বিচার পেলেন? রক্তাক্ত সেই দিনের কারবারিরা কোথায়? কেন এখনও ঘটেই চলেছে সীমন্তে উত্তেজনা? কেন সেদিন জওয়ানদের সুরক্ষায় এত ফাঁক ছিল? কেন এখনও জওয়ানদের নিরাপত্তায় ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে? প্রশ্ন ওঠে অনেক, কিন্তু উত্তর অধরায়। শুধুই প্রিয়জন হারানো মানুষগুলো খুঁজে চলে হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাকে। কারোর স্ত্রী, কারোর সন্তান, কারোর মা, সকলের চোখেই ধরা দেয় বাবলুরা। ‘বাবলুদে’র মৃত্যুর ‘কারণ’রা।

১৪.০২.২০২০

by Ramen Das

30 views