দেশজুড়েচলছে তৃতীয় দফার লকডাউন। বন্ধ জনজীবন। গৃহবন্দী মানুষ। তবুও সরকারের উদ্বেগ বাড়িয়ে করোনা আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে হয়েছে ৩০০০, একদিনে ১২৬ জন সহ মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৮৫ জন। আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৫২০০০। শুধু তাই নয় লকডাউন চলাকালীন যেভাবে মদের দোকান খোলার ছাড়পত্র সরকার দিয়েছিল এবং তারপর সারা দেশে যে সার্বিক চিত্রটা দেখা গিয়েছিল তাতে আরও উদ্বেগে সরকার ।
আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ভাবে সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে হুড়মুড়িয়ে লোকজন ভীড় করে মদের দোকানে লাইন দিয়েছিলেন তাতে প্রশ্ন উঠছে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এতে এক ধাপে অনেকটাই বেড়ে যাবে সংক্রমণ।
এদিকে রাজ্য প্রশাসনের উদ্বেগ বাড়িয়ে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। মোট আক্রান্ত ১২৫৯ সহ মৃত্যু হয়েছে ১৪০ জনের। তবে করোনা সংক্রামিত রুগী, কিন্তু মৃত্যু হয়েছে অন্য কারণে এরকম রুগীর সংখ্যাও অনেক। কাজেই সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। বারবার উঠে আসছে অপর্যাপ্ত টেস্ট, প্রশাসনিক গাফিলতি তথা পরিকাঠামোর অভাব।
গোটা বিশ্বের দিকে চোখ রাখলে সংখ্যাটা আরও ভয়াবহ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩৯ লক্ষ। মৃতের সংখ্যা ২.৫ লক্ষেরও বেশি। মৃত্যুহার ১৭%।
শুধুমাত্র আমেরিকাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১২ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। আমেরিকার পরেই রয়েছে ইউরোপের দেশ স্পেন।
ভারতবর্ষে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত মহারাষ্ট্রে। নতুন করে কয়েক হাজার সংক্রামিত সহ মোট আক্রান্ত প্রায় ১৩ হাজার। স্বভাবতই চিন্তার ভাঁজ কেন্দ্রীয় সরকারের কপালে। যত দিন যাচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা কমার বদলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। গ্রাফ উর্ধমুখী হচ্ছে। আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে আজীবন লকডাউন চালানো সম্ভব নয়। লকডাউন তুলে নিলে কোথায় গিয়ে থামবে এই ত্রাস? ভয়ের ভ্রুকুটি সমস্ত জায়গায়।
তবুও ভিড়, আড্ডা, বাজার চলছে রমরমিয়ে। পুলিশের সামনে মাস্ক, নইলে সেটাও নিচ্ছেন না অনেকেই, এই বেলাগাম অসচেতনতা আটকাবে কে? সবকিছুতেই পুলিশ দেওয়া সম্ভব? কেন এখনও জনতার একটা অংশ এমন বেকাগাম উঠছে প্রশ্ন!
___________________________________
০৭.০৫.২০২০
নয়াদিল্লি ও কলকাতা
রিপোর্ট: স্বাতী সেনাপতি