‘ভাত না মদ চাইয়ে’র আবহেই দুর্দান্ত লাভ এই রাজ্যেরও। আয় কোটি কোটি টাকা।

বর্ষাকালে চাতক পাখিরা সামান্য বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করে জল ভেজানোর জন্য তেমনি ৪০দিন পর অপেক্ষার অবসান ঘটলো সুরাপ্রেমিদের জন্য।খুলে গেলো ‘খুলজা সিম সিম’, মদের দোকান। মদ না খেলে হব না ভালো ছেলে, ভেবে, করোনা আবহে সমস্ত নিয়ম-নীতিকে ফুৎকারে উড়িয়ে তাঁরা দাঁড়িয়েছিলেন লাইনে! সমালোচনা, বিতর্ক ছিলই, কিন্তু এঁরা দেশের রাজস্বে যে পরিমাণ অর্থ দিল, তা এই সময়ে নজিরবিহীন। আগেই জানা গিয়েছে খবর। কিন্তু এই রাজ্যে?

তাই, করোনার তোয়াক্কা না করেই সুরার টানে ছুটে চলেছে বাঙালি। যার কারণে, বিপুল অর্থের মুখ দেখে রাজ্যের কোষাগারগুলি। বাংলার ভাঁড়াড়ে এই ৩দিনে মদ বিক্রি করে ১১.১৭৮ কোটি টাকার মুখ দেখেছে।সোমবার বিকেল ৩টে থেকে দোকান খোলা হয়।মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে সাতঘণ্টায় বিক্রি হয়েছে বিক্রি হয়েছে ৬৫ কোটি টাকার মদ।

করোনায় যখন কোষাগার শূণ্যের পথে তখন মদ্যপ্রেমীদের জন্য মদের দোকান খোলাতে কোষাগারে ঢুকলো বিপুল অর্থ।এই মোক্ষলাভে এগিয়ে ৫ রাজ্য।সোমবার মদের দোকান খোলাতে প্রথম যোগী রাজ্য এগিয়ে মুনাফায়,আয় ১০০কোটি।এরপর কর্ণাটক,মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, তেলেঙ্গানা।

হবেনাই বা কেন,প্রায় দেড় মাসের পর কিছু বাছাই করা দোকান খোলা হয়।তারপর দোকান গুলিতে মানুষের ঢল উপচে পড়ে।৪-৬ ঘন্টা লাইন দিয়ে অতিরিক্ত শুল্ক দিয়ে সবাই নিজেদের পছন্দের দেশ বিদেশী মদ কেনেন।

০৭.০৫.২০২০
কলকাতা
রিপোর্ট: অর্পিতা বসু