‘বয়েজ লকার-রুম’ কাণ্ডে অভিযুক্ত যশপ্রকাশ কি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ-পুত্র?-প্রশ্ন গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের

ফেসবুক, তারপর ইনস্টাগ্রাম। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে মহিলাদের ছবি, তাঁদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ার একটি গ্রুপ নিয়ে। বয়েজ লকার রুম নামে ওই গ্রুপ থেকে অশালীন বক্তব্য, এবং ছবি ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে বেশকিছুদিন ধরে। এবার ফের এই গ্রুপের আঁচ এসে পড়ল কলকাতায়। অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে নাকি যুক্ত, রাজ্যের এক প্রথমসারির বিজেপি নেতা র পুত্র। যিনি এই গ্রুপের কাজকর্মে নাকি যুক্ত। কিন্তু কোন নেতা? এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ হয়নি। এবার এই প্রসঙ্গে, নাম করে ‘বিস্ফোরক’ ট্যুইট করেন বাংলাপক্ষ নামে একটি সংগঠনের অন্যতম সদস্য, অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার তিনি টুইটারে লেখেন, ”বাংলার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের পুত্র যশ প্রকাশ মজুমদার। একটি যশপ্রকাশ মজুমদার বয়েজ লকার রুমের পেছনে। এটা এক?” অর্থাৎ তিনি বলেন, অভিযুক্ত ওই ছেলেটি অর্থাৎ যশ প্রকাশ মজুমদার কি জয়প্রকাশ-পুত্র?? এরপর ‘খবরওয়ালাটিভি.কমে’র তরফে, ‘বাংলাপক্ষ’ নামে ওই সংগঠনের অন্যতম নেতা, অধ্যাপক গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ”আমি জানি না। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত যশ প্রকাশ, জয়প্রকাশ মজুমদারের পুত্রের নামও। তাই একটা খটকা লাগছে। আমি জানতে চাইছি, এ সেই একই ব্যক্তি কি ? জয়প্রকাশের ছেলে যশপ্রকাশ? আমি জানতে চাইছি শুধু।” কী অভিযোগ শুনলেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, ”অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েদের ছবি শেয়ার করত, অশালীন কাজ চলত, এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত এই নাম। যশপ্রকাশ নামটা পেলাম, খুব চেনা চেনা লাগছে, জয়প্রকাশ দা-র ছেলের নাম। জানি না, জানতে চেয়েছি শুধু।” আমাদের তরফে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ”গর্গ চ্যাটার্জীর নোংরা ঘাটা অভ্যেস, তিনি ঘাটতে চাইলে তা পারেন, আমার অভ্যাস নেই। এই ঘটনাটি দিল্লির কিছু স্কুল-পড়ুয়াদের মধ্যে। আমার ছেলে দিল্লিতে কোনওদিন পড়াশুনা করেনি। অনেক সিনিওর। ৭ বছর আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে, ফ্রান্সের পর, এখন চাকরি করে।”

দাবি, মূলত নাবালিকা এবং বিভিন্ন বয়েসের মহিলার ছবি ব্যবহার করে ‘কুরুচিকর’ কাজকর্ম চলত ওই গ্রুপে। সম্প্রতি, ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের পর, আরও সক্রিয় হয় প্রশাসন। আগেই বন্ধ হওয়া ওই ফেসবুক গ্রুপ ইনস্টাগ্রামেও বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি দিল্লির এক স্কুল-পড়ুয়া গ্রেফতার হয়, এই গ্রুপে যুক্ত থাকার অভিযোগে। জানা গিয়েছে, তিন আইনজীবী দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন। যার পরে, অর্থাৎ যে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আরও সক্রিয় হয় প্রশাসন। শনাক্ত করা হয়েছে একাধিককে। বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশিত হয়, রাজ্যের বিজেপি নেতার ছেলের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু একেবারে নামকরে এই ‘বিস্ফোরক’ মন্তব্যের মাধ্যমে গর্গের জানতে চাওয়া, রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন, রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

_____________________________________
০৭.০৫.২০২০
কলকাতা