বিধ্বস্ত আমেরিকা: সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল সাউথ কোরিয়া

চোখের সামনে বদলে যাচ্ছে পৃথিবীটা। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ করোনার করাল গ্রাসে ধুঁকছে। করোনার কোপ থেকে রেহাই পায়নি আমেরিকাও। প্রতিদিন প্রায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন সেদেশে। পরিসংখ্যান বলছে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২০০ লোক মারা যাচ্ছেন সেদেশে। অর্থাৎ প্রতি মিনিটে ১ জন করে লোক ! বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়ার মতো সংখ্যাটা। মৃতদেহ জমে লাশের স্তুপ হচ্ছে। মর্গেও আর জায়গা মিলছেনা। মিলছেনা সৎকার করার লোকও। এযাবৎ আমেরিকায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৩৬০০। যা অন্যান্য দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি।

এহেন পরিস্তিতিতে ‘হু’এর নিদান হল যত বেশি কোরোনা টেস্ট বাড়ানো যাবে তত কমবে মৃত্যুহার। কিন্তু আমেরিকায় এখন সব কিছুই অপ্রতুল। মিলছেনা কোরোনা টেস্টের জন্য পর্যাপ্ত কিট। বিশ্বব্যাপি এই গভীর সংকটে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে তারা। আর তাই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন সম্মত হয়েছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে।

রয়টার্স সূত্রে খবর, সাউথ কোরিয়ার একটি কিট প্রস্তুতকারক সংস্থা ৭৫০০ কিট আমেরিকায় রপ্তানি করার বরাত পেয়েছে। যা দিয়ে মোট ৭৫০০০০ টেস্ট করা সম্ভব হবে। এর আগে ওই সংস্থাটি ১৫০০০০টি কিট সরবরাহ করেছে আমেরিকাকে। যা দিয়ে প্রতিদিন দ্বিগুন মানুষের কোরোনা পরীক্ষা করা সম্ভব। যা দিয়ে এই মৃত্যু মিছিল কিছুটা হলেও ঠেকানো যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

রয়টার্স সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই সংস্থাটি আমেরিকার সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়ার প্রস্তাব পেশ করেছে। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে যাতে আমেরিকাতেও তাদের সংস্থা শাখা খুলতে পারে তাও বলা হয়েছে। যদিও এব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসন সরকারিভাবে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।

তবে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত হ্যারি হ্যারিস, এই সাহায্যের জন্যে টুইটারে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সাউথ কোরিয়ার। এবং ধন্যবাদ জানিয়েছেন সেই দেশের বিদেশমন্ত্রীকে।

১৫.০৪.২০২০

রিপোর্ট: স্বাতী সেনাপতি

#Reuters