কলকাতা: দেশের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত ৯০০ এর বেশি। মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ২০ জনের। এরাজ্যে আক্রান্ত ১৫ জন! আক্রান্ত ৯ মাসের শিশুও। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চলছে লক্ ডাউন। বন্ধ প্রায় সব। গৃহ বন্দি জনজীবন। বিপন্ন সমাজ। কিন্তু এর মধ্যে দাঁড়িয়েও যাঁরা এখনও সামনে থেকে লড়ছেন করোনার বিরুদ্ধে, সেই স্বাস্থ্যকর্মীরা য় তুললেন গুরুতর অভিযোগ।
দেশের মধ্যে প্রথম যে নজিরবিহীন উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য। প্রথম কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজকে পরিণত করা হয়েছে রাজ্যের করোনা হাসপাতাল হিসেবে, সেই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের তরফেই তোলা হল অভিযোগ। অপর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী থেকে অপরিচ্ছন্ন শৌচালয়, সব নিয়েই অভিযোগে সরব হলেন একাংশ। শুক্রবারের বিক্ষোভের পর, এবার ফেসবুকেও সরব হলেন ওই অংশের স্বাস্থ্যকর্মীরা। ইতিমধ্যেই, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে র এক কর্মরত এক নার্স সব অভিযোগ উগরে দিয়ে ফেসবুক পোস্ট করেছেন। যা এর মধ্যেই ভাইরাল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই অংশের দাবি, শুক্রবারের বিক্ষোভের পর কতৃর্পক্ষ, আশ্বাস দেয়, খতিয়ে দেখার। কিন্তু শনিবার সকালে তাঁদের দেখানো হয় পি পি ই। অভিযোগ, বলা হয় ১৫ জনকে একটু শৌচালয় ব্যবহার করতে হবে। দাবি, এমনকি শৌচালয় পরিষ্কার করতে হবে ওই নার্সদের, এমনও নাকি বলা হচ্ছে।
থাকার জায়গার শৌচাগারের অবস্থা। (ফেসবুক থেকে)
যদিও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ। প্রস্তুত আপাতত প্রায় ৩০০ বেড। কলকাতার এই করোনা হাসপাতাল একেবারেই তৈরি বলেই জানিয়েছেন কর্তারা। যদিও, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনও আপোস করা হবে না বলে জানানো হলেও, বাস্তবে তা হচ্ছে কিনা? মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণ হচ্ছে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওই স্বাস্থ্যকর্মী, নার্সের ফেসবুক পোস্ট।
এদিকে, ওই স্বাস্থ্যকর্মী নার্সের এই শনিবারের এই ফেসবুক পোস্টটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ শেয়ার করার পাশাপাশি, অনেকেই সহমর্মিতা প্রদান করেছেন ওই পোস্টের কমেন্টে। যদিও, শুক্রবারের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের বিক্ষোভ এবং শনিবারের এই পোস্টের পর, খতিয়ে দেখার মৌখিক আশ্বাস পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সকালে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিম্নমানের (অভিযোগ অনুযায়ী) পি পি ই দেখানো হলেও, পরে হাসপাতালের তরফে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার, মুখ্যমন্ত্রীর সামগ্রিক প্রচেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন আদেও হয় কিনা! এই দাবি বা অভিযোগ সত্যি হলে, তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয় কতৃর্পক্ষ, সেটাও এখন দেখার।
কলকাতা
২৮.০৩.২০২০