বঙ্গ-সাহায্যে ফের রাজ্যসভায় ইয়েচুরি? সেলিম? জোর জল্পনা পঞ্চম আসন ঘিরে!

কলকাতা: বেশ কিছুদিন যাবৎ তিনি নেই। তাঁর বক্তব্যও শোনা যায় না রাজ্যসভার অন্দরে। কিন্তু বিশে’র মার্চে এসে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে, তাঁর ‘আবার ফেরা’ নিয়ে। সিপিএমের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা পলিটব্যুরো সদস্য, সীতারাম ইয়েচুরি ফের ফিরতে পারেন রাজ্য সভায়। যদি বাম-কংগ্রেস একযোগে, বঙ্গ থেকে সবচেয়ে ‘কঠিন’ পঞ্চম আসনে প্রার্থী করে তাঁকে। যদিও দৌঁড়ে আছেন রায়গঞ্জের প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিমও। আর কোনও প্রার্থী এঁদের বিরুদ্ধে না দাঁড়ালে ওই আসনে জিততে পারেন বাম-কংগ্রেস প্রার্থী। যার প্রথমদিকে নাম সেলিম এবং ইয়েচুরির। যদিও পাল্লা ভারী সীতারামেই।

কীভাবে? পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই মাসেই রাজ্যসভায় নির্বাচিত হবেন ৫ জন সাংসদ। যার মধ্যে ইতিমধ্যেই বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে ৪ টি আসন নিশ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের ৪ জনের রাজ্যসভায় যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা।

কিন্তু ৫ নম্বর আসন? সেখানে এখনও পর্যন্ত নিশ্চিত নন কেউ, অর্থাৎ কোনও দলই। যদি, বাম-কংগ্রেস মিলিতভাবে প্রার্থী দেয় তাহলে ওই আসনে তাঁদের প্রার্থীর জয় নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

এখানেই উঠেছে জল্পনা, তাহলে কি কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে বামেদের তরফে সীতারামের নাম উঠে আসতে পারে? সূত্র জানাচ্ছে, কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে সুসম্পর্কের জেরে সীতারাম ইয়েচুরির নামে আপত্তি না থাকার সম্ভাবনা সোনিয়া-রাহুলের। এদিকে বঙ্গ-বামের তরফেও আপত্তি না আসার সম্ভাবনা বেশি। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, খুব গুরুত্বপূর্ণ কোনও পরিবর্তন না হলে এমনই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কিন্তু রাজনীতির ঘেরাটোপে এত সহজ হবে সব?- এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহলের আরেক অংশের দাবি, ৫ এর মধ্যে ৪ টি আসন নিশ্চিতের পরও রাজ্যের শাসক দলের তরফে যদি পঞ্চম আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো হয়, তাহলে লড়াই যথেষ্ঠ কঠিন হতে পারে। কারণ, দলছুট বিধায়করা যদি ভোট দিতে আসেন, তাহলে তাঁদের পুরনো দলকেই ভোট দিতে হবে, নাহলে তাঁদেরও পড়তে হতে পারে দল বিরোধী আইনের কবলে। এদিকে ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকতে পারেন বিজেপির ৬ বিধায়ক। যারফলে একজন রাজ্যসভার সাংসদের জন্য ৪৯ টি ভোট থেকে তা কমে হতে পারে ৪৬! এদিকে, বাম-কংগ্রেস একযোগে ভোট দিতে গেলেও, পদ্ধতিগত অথবা অজানাতে যদি কোনও বিধায়ক ভোট দিতে ভুল করে বসেন, তাহলে বাতিল হবে তাঁর ভোট। সব মিলিয়ে নির্বাচিত হওয়ার ভোট আরও কমতে থাকবে।

যদি এইরকম কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তবে, সবচেয়ে ভালো জায়গায় থাকবে তৃণমূল কংগ্রেসই। ৫-এ ৫, যদি তাঁরা করে ফেলেন, তাহলেও খুব একটা অবাক কিছু ঘটবে না বলেই মনে করেন এই মহল।

রাজ্যসভার বঙ্গনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়পত্র দেওয়ার শেষ তারিখ ১৩ মার্চ। ১৬ মার্চ খতিয়ে দেখা হবে আবেদনপত্র। ১৮ মার্চ বিকেল ৩ টে পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার এর সময়সীমা। যদি পঞ্চম আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, তাহলে নির্বাচন হবে ২৬ মার্চ। ফলাফল অসার সম্ভাবনা ওইদিনই।

07.03.2020

File Pictures Courtesy: Facebook