“টিকিয়াপাড়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনার যথা সম্ভব কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। প্রত্যেককে চিহ্নিত করে যথোপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। আইন অমান্য কিংবা হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবেনা।” পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা হবে (টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে), কিন্তু এই সবটাই হয়েছে ঘটনা ঘটে যাওয়ার বহুক্ষণ পর। অনেকেই অভিযোগ করছেন, বারবার বিভিন্ন জায়গায় লকডাউনের কার্যকারিতা ‘সফলতা’ না পেলেও রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নেয়নি, আর যার ফলে মঙ্গলবারের এই ঘটনা!
আদতে কী ঘটেছিল? বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, নবান্ন থেকে খুব একটা দূরে নয় টিকিয়াপাড়া। একই জেলা। কিন্তু সেখানেই এদিন আক্রান্ত হয় পুলিশ। আইন ভঙ্গকারী জনতাই পেটায় পুলিশকে! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে তোলপাড় হয় রাজ্য। প্রসঙ্গত, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৬০০ ছাড়িয়েছে। বারবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলছেন লকডাউন মান্য করার জন্য। ক’দিন আগেই বলেছিলেন, ‘পুলিশ কড়াকড়ি করবে, বাড়াবাড়ি না’। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটল ঠিক তার বিপরীত। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তো বটেই, পুলিশকে আক্রান্ত হতে হল, হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার একটি বাজার অঞ্চলে। অভিযোগ, উন্মত্ত জনতার পাথরবৃষ্টি এবং মারে গুরুতর আহত হয়েছেন কর্মরত দুই পুলিশকর্মী। যাঁদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। আজ সকাল পর্যন্ত খবর, তাঁরা স্থিতিশীল অবস্থায় আছেন। প্রসঙ্গত হাওড়ার টিকিয়াপাড়া অঞ্চলটি ঘনবসতিপূর্ণ এবং অতিসম্প্রতি জায়গাটি করোনা ‘রেড-জোন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশের একটি দল ওই এলাকা পরিদর্শনে যায়। সেখানে বহু মানুষের ভিড় থাকে, পুলিশের তরফে তাঁদের সরে যেতে বলা হয়, কিন্তু জনতার একটা অংশ হঠাৎ চড়াও হয় পুলিশের উপর। অভিযোগ, তারপর পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে পাথরবৃষ্টি। মারধর করা হয় পুলিশকর্মীদের। বাঁশ, লাঠি দিয়েও পুলিশকে আক্রমণ করার অভিযোগ ওঠে। এরপর ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে কিছুক্ষন পরে।
এই ঘটনার নিন্দায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাঁদের অভিযোগের আঙুল, রাজ্য প্রশাসনের দিকেই।
২৮.০৪.২০২০
শেষ আপডেট: ২৯.০৪.২০২০
রাতে ১২.৩০ টা