পালঘর সন্ন্যাসী-খুনে অভিযুক্ত ১ জন করোনা পজিটিভ। সংস্পর্শে আসা প্রায় ৪৩-কে পাঠানো হল কোয়ারেন্টাইনে

মহারাষ্ট্রের পালঘর সন্ন্যাসী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আসামীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ল। সাধুকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে ওয়াদা থানায় রাখা হয়েছিল। যাঁর সংস্পর্শে আসেন প্রায় ৪৩ জন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা যাচ্ছে পুলিশকর্মী সহ এবং মোট সংস্পর্শে আসা সকলকেই ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট নিয়মে দ্রুত কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।

কিছুদিন আগেই প্রকাশ্যে আসে একটা অভিযোগ, মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায় ২-জন বৃদ্ধ সন্ন্যাসীকে পিটিয়ে হত্যা করে উন্মত্ত জনতা। দাবি, এই ঘটনাটি ঘটে মার্চ মাসের মাঝামাঝি। একটি ভিডিও ফেসবুকের সৌজন্যে প্রকাশ্যে আসতে নড়ে চড়ে বসে মহারাষ্ট্র প্রশাসন। ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল উন্মত্ত জনতা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে চলে একজন বৃদ্ধকে, যিনি সন্ন্যাসী বলেও দাবি করা হচ্ছে। আহত বৃদ্ধকে ওই ভিডিওতে, হাতজোড় করে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানাতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় শোরগোল। বিতর্ক চরমে ওঠে।

পুলিশ সূত্রে খবর পাওয়া যায়, ওই ২ জন বৃদ্ধ, একটি গাড়ি ভাড়া করে তাঁদের গুরুর শেষকৃত্যে যোগ দিতে মুম্বই থেকে নাসিক যাচ্ছিলেন। জানা যায়, পথিমধ্যে শতাধিক উন্মত্ত জনতা তাঁদের গাড়িটি আটক করে এবং টেনে হিঁচড়ে তাদের বের করে মারধর শুরু করে। গুজব রটে যায় তাঁরা চুরি করে পালাচ্ছেন এবং তাঁরা কিডনি পাচারকারী চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, খবর পেয়ে পুলিশ তড়িঘড়ি সেই জায়গায় পৌঁছে চেষ্টা করেন তাঁদেরকে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে রক্ষা করতে। কিন্তু উন্মত্ত জনতা ছিনিয়ে নেয় তাঁদের এবং পুলিশের উপর চড়াও হয় জনতা। এমনকি ভাঙচুর চালানো হয় পুলিশের গাড়িতেও। পরে উদ্ধার করে তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গণপিটুনিতে মৃত্যু, পুলিশের উপর হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি নষ্টের মামলা রুজু করে। এই হিংসার সঙ্গে জড়িত কমপক্ষে ১১০ জনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়। পরে আরও পাঁচজন, মোট ১১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

০৩.০৫.২০২০