পাকিস্তান-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফকে কড়া সতর্কতার নির্দেশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর।

গোটা দেশজুড়ে লকডাউন। যা বাড়তে চলেছে আরও। আপাতত, ১৫ দিন বাড়িয়ে করা হচ্ছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে,আর এই সুযোগে যাতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে কোন অনুপ্রবেশকারী ঢুকতে না পারে সেই কারণে, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফকে) কড়া নির্দেশ দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সম্প্রতি, বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই নিয়ে আলোচনা হয় অমিত শাহের। সেই আলোচনায় তিনি নির্দেশ দেন, সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও বাড়াতে হবে, যাতে কোনোভাবেই যেন অন্যদেশ থেকে ভারতে কেউ ঢুকে না পড়তে পারে।

যে যে অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেই অঞ্চল গুলিতে আরও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দেন শাহ।শুক্রবার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক সাংবাদিক বৈঠকে এই খবর জানান ওই দফতরের যুগ্মসচিব পি. শ্রীবাস্তব।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ওই ভিডিও কনফারেন্সে বিএসএফ আধিকারিকদের আরও বলেন, সীমান্ত এলাকার কৃষক ও গ্রামবাসীরা যাতে সামাজিক দূরত্ব ও লকডাউন মেনে চলেন তা সুনিশ্চিত করতে হবে।এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সাহায্য নিতে হবে। কিন্তু কোনোরকমভাবে অসাবধান হওয়া যাবে না।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে আরও খবর, ইতিমধ্যেই সারাদেশে ৩৭ হাজার ৯৭৮টি ত্রাণ শিবির চলছে, ১৪ লক্ষ ৩০ হাজার শ্রমিক ও মজুরদের সেই ক্যাম্পগুলিতে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২৬ হাজার ২২৫ টি খাদ্য সরবরাহের শিবির চলছে বলেও জানায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। প্রতিদিন সেখান থেকে এক কোটি মানুষ দু’বেলা খাবার পাচ্ছেন।যুগ্ম-সচিব পি শ্রীবাস্তব এদিন জানান, উৎসবের দিনগুলোতে যাতে বিশেষভাবে লক্ ডাউন মানা হয় সেই ব্যাপারে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই আবার অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য পরিবহনে যাতে কোনো বাধা না হয় সেই বিষয়টিও সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সব রাজ্যকে।

১১.০৪.২০২০

নয়াদিল্লি

রিপোর্ট: রুমকি সরকার

Edited