নয়া সময়সূচিতে পরীক্ষা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের

করোনার গ্রাসে বিশ্বজুড়ে ভার ক্রান্ত।বাদ পড়েনি ভারতবর্ষ।কোভিড -১৯ এর জন্য মার্চের শেষ থেকে প্রায় ভারতের স্কুল-কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ।বন্ধ বোর্ডের বার্ষিক পরীক্ষা,কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার।করোনা যেমন মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে,পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার দিকে অনেকাংশে পিছিয়ে দিচ্ছে।

এই রকম পরিস্থিতিতে ইউজিসির তরফ থেকে এক কমিটিতে বিশেষজ্ঞরা মিলে এক মিটিং করা হল।বিশেষজ্ঞরা এক রিপোর্টের মধ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য পরীক্ষার জন্য নয়া সময়সূচি নির্ধারণ করলো।

রির্পোট অনুযায়ী কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা পুনরায় খুলতে পারে আগস্ট।২০১৯-২০ শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নিয়ম করা হয়েছে।এইবার সেমিস্টারের পরীক্ষা অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ওপর হবে।এছাড়া প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা ইন্টারনাল পরীক্ষা ও আগের সেমিস্টারের নম্বরের ভিত্তিতে হবে বলে ঘোষণা করলেন কমিটি।ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষা জুলাইয়ের শেষে হতে পারে।

শিক্ষাবর্ষ ও অন্যান পরীক্ষার কোনো সমস্যার জন্য বিশেষ সেল তৈরি করা হবে।কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সপ্তাহে ৬ দিন ক্লাস করানোর কথাও ভাবা হচ্ছে। অনলাইন পরীক্ষাও হতে পারে,তিন ঘন্টার পরীক্ষার পরিবর্তে দু-ঘন্টা পরীক্ষা নেওয়া হবে।

এর পাশাপাশি স্নাতকদের জন্য সেমিস্টারের বদলে বিকল্প পদ্ধতির কথা ভাবা হয়েছে।এই বছর সেমিস্টারে ৫০শতাংশ নম্বর আগের সেমিস্টারের ভিত্তিতে করা হবে,বাকি ইন্টারনাল পরীক্ষার নম্বর অনুযায়ী হবে।অবশ্য আগের বছরে কোনো পড়ুয়ার পরীক্ষায় পাশ নম্বর না থাকলে এই বছর অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে পাশ করানো হবে।তাছাড়া কোনো পড়ুয়া যদি তাদের সেমিস্টারের গ্রেড বাড়াতে চায় তাহলে পরের সেমিস্টারে বিশেষ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য এমফিল,ও পি-এই-ডি পড়ুয়ারা যেসব বিষয়ে গবেষণা করছেন,তাদের গবেষণার জন্য বাড়তি ৬ মাস সময় দেওয়া হবে।ইউজিসির সুপারিশ অনুযায়ী, ফিল্ড স্টাডির পরিবর্তে সেকেন্ডারি ডেটার ভিত্তিতে কাজ করতে হবে।লকডাউনের সময় পড়ুয়া ও স্কলারদের উপস্থিতি ধরা হবে।

০৩/০৪/২০২০
রিপোর্ট- রূপসা ঘোষাল
এডিট- অর্পিতা বসু