আর পাঁচটা মেয়ের মতো তাঁর জীবনটাও হতে পারত। স্বামী-সন্তান-সংসার নিয়ে অনেকের মতো ঘরকন্নার কাজ অথবা কোনও ভালো চাকরি করেই দিনযাপন হতে পারত তাঁর। কিন্তু হলো না! জীবনের একটা সময়ে এসে তথাকথিত সুখ আর ভোগ করা হল না সঙ্গীতার।
বিহারের পাটনার সঙ্গীত কুমারীকে দায়বদ্ধতার চাপে, হতে তুলে নিতে হল এক বিরাট ভার। সংসারের দায়িত্ব, ক্ষুদা নিবৃত্তির চাহিদার পূরণে, তাঁকে ধরতে হল অটোর স্টিয়ারিং। রাজপথে বছরের পর বছর ধরে, এই তিন চাকার যান চালিয়েই জীবনের মানে নতুন খুঁজতে হল তাঁকে। যা এখনও বিদ্যমান।
তিন সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ করে তোলার তাগিদে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় এই সাহসীকে।
সত্যিই, আদতে এই পথচলা মারাত্মক কঠিনই! দিনরাত নিরাপত্তার খামতিকে সঙ্গী করে, সমাজের অনবরত টিপ্পনিকে এড়িয়ে অটোকে জড়িয়ে জীবনযাপন করা, আর দশটা পুরুষকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া কঠিন নয় কী?
যদিও, বিহারের পাটনার অটোচালক এই ‘বহেনে’র সুনাম কিন্তু অনেক। স্থানীয় যাত্রী থেকে, সহ-পুরুষ চালকরা, সঙ্গীতার কীর্তিতে গর্বিত তাঁরা। কেউ কেউ তো ইচ্ছা করেই নাকি বলেন, চড়লে সঙ্গীতা বহেনের গাড়িতেই চড়ব।
কঠিন ছিল না এই সিদ্ধান্ত নেওয়া?- কঠিন শুধু নয়, পরিস্থিতির চাপে, বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজকে এড়িয়ে, অথবা অন্য কোনও কাজ এড়িয়ে, সঙ্গীতার অটোর স্টিয়ারিং ধরা, অত্যন্ত কঠিনই ছিল। তিনি জানান, ‘আমি চারবছর ধরে অটো রিকশা চালাচ্ছি আর তিন সন্তানের মা আমি, এখন অন্য মহিলারাও এই কাজ শিখতে চান।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি মহিলাদের স্বশক্তিকরণ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন, আমাকে অটো চালানোর প্রশিক্ষণ সরকারই দিয়েছে, সরকার এটাকে প্রসারিত করছে, আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমি এই পেশায় এসেছি, আমাকে আমাকে আরও সহযোগিতা করা হোক।’
আসলে তিনি প্রেরণা। শুধু এই একদিন না, বছরের
প্রতিটি দিনই যেন সঙ্গীতার মতো নারীর মহান লড়াই, অসাধারণ কীর্তিতে হয়ে ওঠে নারীদেরই দিবস।
তাঁকে জানাই, খবরওয়ালা টিভির পক্ষ থেকে কুর্ণিশ।
কঠিন ছিল না এই সিদ্ধান্ত নেওয়া?- কঠিন শুধু নয়, পরিস্থিতির চাপে, বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজকে এড়িয়ে, অথবা অন্য কোনও কাজ এড়িয়ে, সঙ্গীতার অটোর স্টিয়ারিং ধরা, অত্যন্ত কঠিনই ছিল। তিনি জানান, ‘আমি চারবছর ধরে অটো রিকশা চালাচ্ছি আর তিন সন্তানের মা আমি, এখন অন্য মহিলারাও এই কাজ শিখতে চান।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি মহিলাদের স্বশক্তিকরণ নিয়ে অনেক কাজ করেছেন, আমাকে অটো চালানোর প্রশিক্ষণ সরকারই দিয়েছে, সরকার এটাকে প্রসারিত করছে, আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, আমি এই পেশায় এসেছি, আমাকে আমাকে আরও সহযোগিতা করা হোক।’
০৮.০৩.২০২০
ছবি সৌজন্যে: এএনআই
by Ramen Das