দ্বিতীয়বার গ্যাস লিক হওয়ার তথ্য ভুল, দাবি এনডিআরএফ প্রধানের

অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমার শিল্পে আবারও গ্যাস লিক হওয়ার সংবাদ অস্বীকার করেছেন জাতীয় দুর্যোগ প্রতিক্রিয়া বাহিনীর (এনডিআরএফ) পরিচালক এসএন প্রধান।সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানিয়েছেন, গ্যাস ফাঁস হওয়ার সংবাদ আবারও গণমাধ্যমে এলেও,তবে তা হয়নি।

এর আগে, অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমের এলজি পলিমার ইন্ডাস্ট্রিতে আবারও গ্যাস ফাঁস হওয়ার সংবাদ সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্টতা দিয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এটি ছিল একটি সামান্য প্রযুক্তিগত ফাঁস।সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ আগে থেকেই বিশাখাপত্তনমে গ্যাস ফাঁস এলাকার ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের অঞ্চলটি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে লোকজনকেও গ্যাস ফাঁস সম্পর্কে ভুয়ো সংবাদে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

বিশাখাপত্তনম পুলিশ কমিশনার আর কে মীনা বলেছেন যে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেছিলেন যে সতর্কতা হিসাবে, সাইটের ২কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে আসা লোকদের এলাকাটি খালি করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ২ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের বাইরের লোকজনকে রাস্তায় আসতে বা অঞ্চল সরিয়ে নিতে হবে না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সবুজ ট্রাইব্যুনাল (এনজিটি) বিশাখাপত্তনম গ্যাস ফাঁস ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে এবং শুক্রবার এই বিষয়ে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে। এনজিটি চেয়ারম্যান এ কে গিয়ালের নেতৃত্বে একটি বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করার কথা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভোরে অন্ধ্র প্রদেশের বিশাখাপত্তনমে গ্যাস ফাঁস দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। রাজ্য সরকার জগনমোহন রেড্ডি দুর্ঘটনার কারণ জানার জন্য তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।প্রায় ২০০০ মানুষ এই গ্যাস লিকের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন।হাজারের বেশী মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। ঘটনার প্রেক্ষিতে অন্ধ্রপ্রদেশ সুপ্রিমো ও এনডিআরএফ দলের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

রাসায়নিক প্যারা-টেরিয়ারি ব্যাটাইল ক্যাটচল (পিটিবিসি) গ্রুপ স্টিয়ারিন গ্যাস লিকের প্রভাব হ্রাস করতে বিশাখাপত্তনমে পৌঁছেছে। এয়ার ইন্ডিয়া কার্গো বিমানটি এই রাসায়নিকটি নিয়ে বিশাখাপত্তনম বিমানবন্দরে পৌঁছেছিল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট থেকে রাসায়নিক নিয়ে আগত নয় সদস্যের একটি দল। এখন সেই দল ফিরে গেছে, বিমানবন্দরের পরিচালক রাজ কিশোর এই তথ্য জানিয়েছেন।

এই রাসায়নিক গ্যাস দক্ষিণ গুজরাটের ভালসাদ জেলার ভাপিতে উৎপাদিত হয়। স্টাইরিন গ্যাস ভীষণভাবে দাহ্য। এটা সাধারণত পলিস্ট্রিন প্লাস্টিক, ফাইবার গ্লাস, রাবার, লেটেক্স তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পাইপ, অটোমোবাইল পার্টস, প্রিন্টিংয়ের কালি, ফুড কন্টেনার তৈরি, প্যাকেজিং, জুতো, খেলনা, মেঝে পালিসের রাসায়নিক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।

০৮/০৫/২০২০
রিপোর্ট – অর্পিতা বসু
চিত্র সূত্র – গুগল