কলকাতা: ‘সংবিধান বাঁচানো,’ ‘দেশ বাঁচানো’র দাবিতে শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে, মৌলালী মসজিদ সংলগ্ন অঞ্চলে সারা ভারত প্রগতিশীল মহিলা সমিতি তরফে গণঅবস্থান কর্মসূচি নেওয়া হয়। এই অবস্থানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত, আশা-মিড ডে মিল এর লড়াকু কর্মীরা সহ আদিবাসী সম্প্রদায়ের মহিলারাও উপস্থিত ছিলেন। শুধুই উপস্থিত থাকেননি,বক্তব্য রাখেন, ক্ষোভ উগরে দেন কেন্দ্রের নীতির বিরুদ্ধে। মূলত, সমাবেশে এসে বক্তব্যের মাধ্যমে, তাঁরা মোদী সরকারের এন.আর.সি, এন.পি আর, সিএএ মানছেন না, মানবেন না বলে স্লোগান দেন।
এর পাশাপাশি এই সমাবেশে ছিল সাম্প্রতিক সময়ের লাবনি জঙ্গী এবং দিব্যশ্রী হাজরার আঁকা চিত্রপ্রদর্শনী। দাবি, যা প্রকাশ করে, বিদ্বেষ ও বিভেদের রাজনীতির বিপ্রতীপে প্রতিরোধ ও ভালোবাসার চিত্র।এছাড়া ছিল শ্রাবস্তীর পারফরম্যান্স, বাবুনি মজুমদারের গান, যাদবপুর সংযোগ প্রযোজিত ‘গফুর জোলা’ নাটক। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণসংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং লিঙ্গ অধিকার আন্দোলনের সামনের সারির কর্মীরা।
এনপিআর – এনআরসি – সিএএ বিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে, দেশজুড়ে গড়ে ওঠা অসংখ্য শাহীন বাগের সংহতিতে এই গণঅবস্থানে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানান তাঁরা। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বামনেত্রী সুচেতা। তিনি দিল্লীর বর্তমান শাহিনবাগের অবস্থানের কথা জানান, এর পাশাপাশি কিছুদিন আগে উত্তর দক্ষিণ দিল্লীতে ঘটে যাওয়া বর্বর ঘটনার কথাও বলেন।
এই সমাবেশে রাজাবাজারের ধর্ণার সাথে জড়িত মহিলারাও উপস্থিত ছিলেন। এঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে স্থায়ীভাবে এন.আর.সি,এন.পি.আর, সিএএ রোধ করতে হবে। এদিকে এই দাবিতে, বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে বসেছেন রাজাবাজার অঞ্চলের ওই মহিলারা।
এই সমাবেশ শনিবার পর্যন্ত হওয়ার কথা থাকলেও, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ার জন্য শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত এই গণসমাবেশ চলে। যদিও, পুলিশের অনুমতি না থাকলেও, উপস্থিত বামনেতা-নেত্রীদের গান, নাটক, কবিতা শ্লোগানে চলে এই বিক্ষোভ অভিযান।
রিপোর্ট: অর্পিতা বসু