বন্ধুদের সাথে গোল করে মনের কথাগুলো বলাই হল আড্ডার এক অংশ।চায়ের দোকানের পলিটিক্স হোক কিংবা স্কুলের বন্ধুদের টিফিন অথবা কলেজের ক্যান্টিনের খুনসুটি কিংবা পাড়ার কাকিমার বিকেলে সিরিয়ালের আড্ডা।কিন্তু লম্বা সময়ের জন্য, সারা ভারত লকডাউন।ক্রমশ বন্ধ সব গল্প।বাড়িতে আর মন টিকছেনা কারোর।আর কতদিনই বা ভার্চুয়াল জগতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে সময় কাটাতে হবে। লকডাউনের জেরে বন্ধ সব আড্ডা।বন্ধ স্কুল,কলেজ,চায়ের দোকান পাড়ার পার্ক।সোশ্যাল ডিসট্যান্স রেখে করোনাকে হারাতে হবে।কিন্তু বন্ধুদের ভুলে মোবাইলে মাথা গুজে গেমে মগ্ন থাকা যায় বা রেডিয়ো শুনে সময় কাটানো যায়।২১ দিনের লকডাউন বেড়ে ৩৬ দিন করা হল। গ্রুপ ভিডিও কলে গল্প করে ক্লান্ত সবাই।গুছিয়ে বসিয়ে আড্ডা দেওয়ার মজাই আলাদা।কিন্তু গুছিয়ে বসিয়ে আড্ডা দেওয়া অপরাধ হয়ে গেলো দুই কিশোরের। প্রিয় বন্ধুর সাথে আড্ডা দেবে বলে ম্যাঙ্গালোরের এক যুবক বড় ট্রলি ব্যাগে করে নিয়ে আসার চেষ্টায় আটক করে পুলিশ।আড্ডাটা শেষে শ্রীঘরেই হোক। আড্ডার টানে বন্ধুকে তার বাড়ি থেকে ট্রলি করে আনতে কাল হয়ে উঠলো কিশোরের।ওই কিশোর বন্ধুকে ট্রলি করে আনার সময়ে বাড়ির হাউজিং এর কিছু সদস্যের নজরে আসতে সন্দেহের শিকার হয়।তখনও হাটে হাঁড়ি ভাঙ্গেনি।রাস্তার স্পিড ব্রেকারে ধাক্কা খেতেই ট্রলিটা নড়ে চড়ে ওঠে।তখনই হাউজিংয়ের অন্যান সদস্যদের কাছে নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই যুবককে।হাউজিংয়ের সদস্যদের জোর করাতে প্রায় বাধ্য হয়ে ট্রলির ঢাকনা খুলতে।ঢাকনা খুলতে দেখা যায় এক কিশোর ব্যাগের ভিতরে হাত পা মুড়ে দিব্যি শুয়ে আছে। শেষ রক্ষা আর হলনা।অবশেষে পুলিশ আটক করলো তাদের।জুভেনাইল আদালতে পেশ করা হল।এদের কান্ডকারখানা দেখে জর্জসাহেনব থেকে শুর করে পুলিশ সকলেই অবাক।আজব হলেও আড্ডার জন্য মানুষ কি না করতে পারে। ১৫/০৪/২০২০ রিপোর্ট – অর্পিতা বসু চিত্র সূত্র – গুগল