‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। যন্ত্র এল ৩২ টি।

‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতির সাহায্যে করোনা পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। চিন থেকে আসা কিট ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার কারণে আইসিএমআর র‍্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট প্রক্রিয়ার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছিল।পরিবর্ত পরীক্ষা পদ্ধতি হিসেবে এই ‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতি।বুধবার রাজ্যের ১৫ টি কেন্দ্রে এই নতুন পদ্ধতির বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে, ভিন্ন ভিন্ন মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং টেকনিক্যাল স্টাফদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মূলত, করোনা অর্থাৎ কোভিড-১৯ ‘ভাইরাস গ্রূপে’ যে সাত ধরণের ভাইরাস আছে তার মধ্যে ‘নোভেল ভাইরাস’কে চিনতে সাহায্য করবে এই ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র। এই যন্ত্রের সঙ্গে টিবি পরীক্ষার যন্ত্রের বহুলাংশে মিল আছে। মূলত, যক্ষ্মা বা টিবি আছে কিনা নির্ধারণ করতে, এই ধরনের পরীক্ষা বা যন্ত্রের প্রয়োজন হয় বলে জানা যাচ্ছে। রাজ্য সরকার করোনা মোকাবিলার জন্য দ্রুত এই ব্যবস্থা গ্রহণ করল বলেই জানা যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, র‍্যাপিড টেস্ট কিটের তুলনায় এর কার্যকরী ক্ষমতা অনেক বেশি। এমনকি, আরটি-পিসিআর-এ নমুনা সংগ্রহের থেকেও এটা অনেক সহজ, খরচও কম। তুলনামূলকভাবে, এই পরীক্ষার রিপোর্টও দ্রুত পাওয়া যায়, আইসিএমআর ও ট্রু-ন্যাট-এর মাধ্যামে নোভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় আগেই সায় দিয়েছে। আইসিএমআর জানায় যে, ‘ট্রু-ন্যাট’-এ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তা চূড়ান্ত বলেই গণ্য হবে, আর যদি সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাহলে ফের নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি-পিসিআর আবশ্যক। এ রাজ্যে ছ’টি ল্যাবকে ‘ট্রু-ন্যাট’ পদ্ধতিতে, আপাতত ১৫ টি জেলায় পরীক্ষা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে, কেন্দ্রের সংস্থা, সেন্ট্রাল টিউবারকিউলোসিস ডিভিশন থেকে এ রাজ্যের জন্য ৩২ টি ‘ট্রু-ন্যাট’ যন্ত্র ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে।

০১.০৪.২০২০
কলকাতা
রিপোর্ট: রূপসা ঘোষাল