নিজস্ব প্রতিবেদন: এভাবেও ফিরে আসা যায় ! কিছুদিন আগেই জিততে পারেননি। দোঁহার বিশ্ব চ্যম্পিয়নশিপে সুযোগ পাননি, কিন্তু
কঠিন লড়াইয়ের পর, ছিনিয়ে নিলেন টোকিও অলিম্পিকের টিকিট! যা ফাইনাল করে ফেললেন জ্যাভলিন থ্রোয়ার শিবপাল সিং। নীরজ চোপরার পর, দ্বিতীয় ভারতীয় হিসেবে এই খেলাতে নামার সুযোগ পেলেন তিনি।
ক’দিন পরেই অনুষ্ঠিত হতে চলা, টোকিও অলিম্পিক নিয়ে, ভারতের এইরকম একাধিক লড়াইয়ের কথা জানছে বিশ্ব।
এভাবেই লড়াই করতে করতে, ইতিমধ্যেই আসন্ন অলিম্পিকে প্রবেশের ছাড়পত্র পেলেন ৭৩ জন ক্রীড়াবিদ। প্রসঙ্গত, কঠিন দিনযাপন এবং রাজ্যসভা সামলে, মেরি কমের ফিরে আসা, মানু ভাকর থেকে এম. শ্রীশংকর, ভারতের অলিম্পিক যোদ্ধাদের ফিরে আসার কাহিনীতে ক্রমশ সম্পৃক্ত হচ্ছে দেশ।
এতজনের সুযোগ পাওয়া, যা, ভারতের ইতিহাসে নজরকাড়া সাফল্য বলেই মনে করছেন ক্রীড়াবিশেষজ্ঞ থেকে প্রাক্তন খেলোয়াড়রা। স্বাভাবিভাবেই অভিভূত এই মহলের বিরাট অংশ। তাঁদের দাবি, এখনও খানিকটা পথ চলা বাকি, ২৪ জুলাই শুরু হওয়া এই মহান ইভেন্টে সুযোগ পেতে পারেন আরও ভারতীয়। তাঁরা, বিপুল পদক জয়ের বিষয়েও দারুণ আশাবাদী। আসলে, অলিম্পিকে পদক জয় আর ভারতের হয়ে কঠিন যুদ্ধ জয় প্রায় এক। এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কোটি কোটি দেশবাসীর আবেগ, ভালোলাগা। আর এই আবেগকে সঙ্গে নিয়েই, বিরাট সংখ্যক ভারতীয় ক্রীড়াবিদেরা যাচ্ছেন টোকিওতে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪১ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলা ক্রীড়া’রত্ন’ সুযোগ করে নিয়েছেন অলিম্পিকে। তীরন্দাজি, বক্সিং, শ্যুটিং, হকি, ইকুয়েসট্রিয়ান এবং অন্যান্য খেলা মিলিয়ে এই অংশগ্রহণ। হকির পর শুধুমাত্র শ্যুটিংয়েই সুযোগ ছিনিয়ে নিয়েছেন ১৫ জন। যার মধ্যে ৭ জনই মহিলা বন্দুকবাজ।
উল্লেখ্য, ১৯০০ সালে প্যারিসে শুরু হওয়া গ্রীষ্মের এই অলিম্পিক, মূলত কয়েকবছর বন্ধ থাকার পর, আবার শুরু হয় ১৯২০ সালে। তারপর ১৯৩৬ এর পর থেকে ১৯৪৭ পর্যন্ত বন্ধ থাকে এই বৃহৎ প্রতিযোগিতা। তারপর থেকে আর বন্ধ হয়নি। ৪ বছরের ব্যবধানে, বিশ্বজুড়ে চলতে থাকে এই অনুষ্ঠান। অংশগ্রহণ করে একাধিক দেশ। সেরা সেরা ক্রীড়াবিদদের নিয়ে সম্পূর্ণ হয় এই সমারোহ। মূলত, পদক জয়ে ভালোলাগা সৃষ্টি হয় প্রাপক দেশের জনতার মধ্যে। তাই, বিশ্বে এই অলিম্পিক প্রতিযোগিতা সবচেয়ে জনপ্রিয়। ৪ বছর অপেক্ষার পর, রিও-র পর, এবার মেতে ওঠা টোকিও-কে কেন্দ্র করে। এদিকে, ২০২৪-এ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে প্যারিসে। এই প্রতিযোগিতার পাশাপাশি প্রায় একইভাবে শীতকালীন অলিম্পিকও অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন দেশে।
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস আতঙ্কে এই প্রতিযোগিতার তারিখ পিছিয়ে যাবে কিনা? এখনও এইরকম কোনও সম্ভাবনার কথা জানা যায়নি। তবে এইরকম হলেও হতে পারে বলে মত, সংশ্লিষ্ট ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য মহলের একাংশের। অলিম্পিক আয়োজক সংস্থার প্রধান, থমাস ব্যাচের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে, অর্থাৎ পুরো অনুষ্ঠানের তারিখ পিছিয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও মন্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। আপাতত, করোনা ভাইরাস নিয়ে অতিরিক্ত সতর্কতা যে নেওয়া হয়েছে, এমনই জানা গিয়েছে আইওসি সূত্রে।
১১.০৩.২০২০
khoborwala Tv