ছাড় পাবে একাধিক ক্ষেত্র, তবুও বাড়বে দেশে লকডাউন ?? মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত মোদীর?

২৭ তারিখ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই মূলত আলোচনা হবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং লকডাউন নিয়ে। এই বৈঠকের ফল কী হতে পারে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তাহলে কি ফের বাড়তে পারে লকডাউন? মুখ্যমন্ত্রীদের তরফে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরেই ঠিক হতে পারে সব? তৃতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে লকডাউনের?

এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরে, হ্যাঁ বলছেন, সংশ্লিষ্ট মহলের একটা বড় অংশ। তাঁদের অনেকেরই দাবি, ভারতের করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছে না। প্রতিদিন ক্রমশ বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সহ কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরীক্ষার সংখ্যার আধিক্য নিয়েও প্রশ্ন উঠছে, সবমিলিয়ে আরও পরীক্ষা হলে এই সংখ্যাটা বিরাট হারে বাড়তে পারে বলেই অনুমান ওই অংশের। এদিকে, লকডাউন বহু রাজ্যেই, সরকারি মতে না হলেও, সম্পূর্ণ সফল হয়নি। সংবাদমাধ্যম মারফত সেই চিত্র দেখা গিয়েছে বারবার। ‘কমিউনিটি স্প্রেড’ হয়নি বলা হলেও, এরকম চললে সেই সম্ভাবনা থাকছে। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে সম্পূর্ণ লকডাউন এই মুহূর্তে তুলে দেওয়ার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের সরকার নেবে না বলেই মত তাঁদের। যার ফলস্বরূপ, এই পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও বাড়তে পরে।

কিন্তু দেশজুড়ে এবার সম্পূর্ণ লকডাউন না থেকে, তৃতীয় ধাপের ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয়ে ছাড় দিতে পারে কেন্দ্র। বিশেষত, যে সমস্ত এলাকায় এখনও সংক্রমণ নেই, অথবা বহুদিন যাবত নতুন সংক্রমনের, খবর পাওয়া যায়নি, সেই সমস্ত এলাকা, বিশেষত সবুজ অঞ্চল বা গ্রিন জোনের ক্ষেত্রে এবার লকডাউন পুরো শিথিল হতে পারে। সেই সমস্ত অঞ্চলে মানুষের গতিবিধি খানিকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হতে পারে। এদিকে হটস্পট অঞ্চল বা সংক্রমিত এলাকার ক্ষেত্রে এই লকডাউন যেমন চলছে ঠিক তেমনই থাকার সম্ভাবনা বেশি। দেশের তুলনামূলক কম অথবা একেবারে সংক্রমণহীন জেলায়, অথবা অঞ্চলে লকডাউন শিথিল হলেও, বাকি সমস্ত অঞ্চলে এর সম্ভাবনা কম। সেখানে বহাল থাকতে পারে এই অবস্থা। সূত্রের খবর, তবে এখনই সরকার; শপিং মল, সিনেমাহল, বার, রেস্টুরেন্টের মতো স্থান খুলতে অনাগ্রহী। কোনও অঞ্চলের জন্যই এইসব ক্ষেত্র, এখনই আগের অবস্থায় ফিরে না আসার সম্ভাবনা প্রবল। এদিকে বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া, এই মুহূর্তে গণপরিবহন চলার ক্ষেত্রেও সিদ্ধান্ত না নিতে পারে সরকার। অর্থাৎ রেল, বিমানের সাধারণ যাত্রী পরিষেবা, ফের বন্ধ থাকতে পারে। ৩ মের পরেও, লকডাউনের দিন বৃদ্ধি হলে, সেইসময় এই সমস্ত পরিষেবা চালু না করার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেন, সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। অর্থাৎ খানিকটা সুরাহা মানুষকে দিলেও, দেশ এখনই যে লকডাউন থেকে সরছে না, এমন সম্ভাবনাই প্রবল হচ্ছে দেশজুড়ে। অনেকেই বলছেন, কিছুক্ষেত্রে ছাড় থাকবে, তবে লকডাউন ফের বাড়ছেই। কিন্তু সবটাই সম্ভাবনার স্তরেই। ২৭ তারিখের বৈঠকের পর, যে বিষয়ে খানিকটা স্পষ্টতা আসবে বলেই মত সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের।

নয়াদিল্লি