চাকরি নেই! তবুও ফিট থাকার আতঙ্কেই ‘পেলোটন বাইক’ কিনতে হুড়োহুড়ি আমেরিকায়!

চাকরি হারাচ্ছেন বহু মানুষ। অনিশ্চিয়তার মেঘ জমছে ভবিষ্যতের আকাশে! কিন্তু তাইবলে কি ফিট থাকা বন্ধ হবে? মার্কিনী জনতাকে এই প্রশ্ন করলে, উত্তর পাবেন না! হ্যাঁ, অনিশ্চিয়তার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি লাভের মুখ দেখছে, ‘পেলোটন বাইক’ বিক্রি করে, এমন একটি সংস্থা। কারণ, লকডাউন সিজনে প্রায়, সকলে লোকসানে চললেও, তাদের ‘প্রোডাকশন’ বাড়াতে হয়েছে ৯৫ শতাংশ! মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, এই বাইক কিনবেন বলে। এমনই বিস্ময়কর সংবাদ, ‘নিউইয়র্ক টাইমস’-কে উল্লেখ করে, প্রকাশ করেছে ‘নিউজ ১৮.কম’ (ইংরেজি)। তাদের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে এই তথ্য।

‘দ্য নিউইয়র্ক টাইমসে’ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, আমেরিকানরা একটি পেলোটন বাইকে ২০০০ ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় দেড়লক্ষ টাকার বেশি সেল করেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সরঞ্জামগুলি “প্যানিক বাই” হিসাবে কেনা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বেশিরভাগ লোকেরা এই মেশিনটি কিনছেন কারণ কাজ করা তাদের রুটিনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ফিটনেস সচেতন ব্যক্তিরাও যুক্তি দেখিয়েছেন যে কভিড ১৯-এর কারণে তারা আজকাল কোনও আউটডোর ওয়ার্কআউটও করতে পারছেন না।

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ রয়েছে যে, এর ফলে সংস্থার স্টক ৯৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যার মূল্য দাঁড়িয়েছে ১০ মিলিয়ন ডলার। গত মাসে ব্র্যান্ডটি জানিয়েছিল, ২৩ হাজারেরও বেশি লোক তাদের লাইভ ক্লাসে যোগ দিয়েছে।

লরেন অলব্রাইট, একজন ট্রায়াথলিট, একজন শিক্ষক এবং শিশুদের বইয়ের লেখক যিনি সম্প্রতি একটি পেলোটন বাইক কিনেছেন, ২২৪৫ ডলার দিয়ে। এত ডলার খরচ করে একটু অাতঙ্কের মধ্যে দিয়েই তিনি এটি কিনেছিলেন বলে জানান। তিনি এবিষয়ে জোর দিয়ে বলেন, কীভাবে শারীরিক সচেতনতা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পেলোটন বাইক কেনার আতঙ্কের ঘটনা ভাগ করে নিতে অনেকেই মাইক্রোব্লগিং সাইট, টুইটারে গিয়েছিলেন।

________________________________________

09.05.2020

PB