মনে পড়ে বাঙালি মেয়ে ঐশী ঘোষের কথা! যে নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করেও এন.আর.সি, এন.পি.আর,সিএএ -র প্রতিবাদে দিল্লীর জহরলাল নেহেরু ইউনিভার্সিটি এর বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, সেই ‘পাশে’ দাঁড়ানোর ‘অপরাধে’, মার খান তিনি। মাথা ফেটে যায় এই নেত্রীর। খবরের শিরোনামে আসেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে ৪০দিন ধরে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন। মারণ ভাইরাস দিন দিন কামড় বসাচ্ছে গরীব মানুষের পেটে।লকডাউনের জেরে আজ বহু মানুষ একবেলা ঠিক মতো খেতেও পারছেনা।এদিকে দিন দিন রাজ্যগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বেড়েই চলেছে,এরকম সময়ে দিল্লীর জহরলাল নেহের ইউনিভার্সিটির পড়ুয়ারা এগিয়ে এলেন।
তৎকালীন পরিস্থিতিতে যেমন মাস্ক,গ্লাভস প্রয়োজন, তেমন মেয়েদের দরকার স্যানিটারি ন্যাপকিন,কিন্তু গ্রামের অনেক অঞ্চলে এর গুরুত্ব অনেকেই কিছু জানেনা।তাই এবার দায়িত্ব নিল জেএনউ কলেজের এস.এফ.আই প্রেসিডেন্ট ঐশী ঘোষ।দুর্গাপুরের কিছু এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিনের গুরুত্ব বোঝালেন গ্রামের মেয়েদের।
তার সঙ্গে তাঁদের হাতে তুলে দিলেন এই প্রয়োজনীয় ন্যাপকিন। এই লকডাউনে প্রতিদিন ঘরে ঘরে গিয়ে এই কাজ করছেন ঐশী ঘোষ।
এর পাশাপাশি দুর্গাপুরের সগড়ভাঙা এলাকায় কারখানার প্রায় ২০০ ঠিকা শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের হাতে খাবার তুলে দিলেন স্বয়ং ঐশী নিজেই।
০৫.০৫.২০২০
দুর্গাপুর
_______________________________
রিপোর্ট: অর্পিতা বসু