লকডাউনের জেরে কোটায় আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীদের ফিরিয়ে আনতে প্রায় ২৫০টি বাসের বন্দোবস্ত করেছিল যোগী আদিত্যনাথের সরকার। শুক্রবার রাতের মধ্যে প্রায় ৬০০০ পড়ুয়া নিয়ে বাসগুলি রাজস্থান থেকে উত্তরপ্রদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যায়। কিন্ত বাস্তবে দেখা যায় সরকারি হিসেবের থেকে প্রায় হাজার খানেক বেশি পড়ুয়া হাজির হয়েছে বাসের জন্যে। ফলত বহু পড়ুয়া দিনভর অপেক্ষা করার পরেও বাসে ঠাঁই হয়নি তাদের। দেশের প্রথম সারির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অ্যালেনের মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রধান নীতিশ কুমার শর্মা জানান প্রাথমিক ভাবে তাঁদের হিসেবে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ৭৫০০। সেইমত ব্যবস্থা হয়েছিল ২৫০টি বাস। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় পড়ুয়া সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। তিনি বলেন বহু পড়ুয়ার সঙ্গে তাদের অভিভাবকরাও থাকতেন। আবার অনেক পড়ুয়া কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত না থেকেও নিজে নিজেই পড়াশুনা চালাতেন কোটায়। স্বাভাবিকভাবেই তাদের তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এরকম পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৪০০০! ফলত তাঁদের জন্যে বাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। কোটার অতিরিক্ত জেলাশাসক নরেন্দ্র গুপ্তা জানান শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৩১৩৮জন পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১১৩টি বাসে। সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে ৬০ আসন বিশিষ্ট বাসে মাত্র ২৫ জনকে বসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ধাপেধাপে বাকি বাসগুলিও রওনা দেবে। যদিও কোটার ডিভিশনাল কমিশনার কম সংখ্যক বাস এই ব্যাপারটির সাথে সহমত পোষণ করেন নি। তিনি আরও বলেন ধাপে ধাপে সমস্ত পড়ুয়াকেই ফেরত পাঠানো হবে। যদি আরও বাস লাগে তবে সেটার বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানান তিনি।
১৯/০৪/২০২০
রিপোর্ট- স্বাতী সেনাপতি
চিত্র ও তথ্য সূত্র- ht