কেমন আছেন বরিস? ফিরতে পারবেন কাজে?

সামান্য জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে মার্চ মাসের শেষের দিকে করোনা পরীক্ষা করা হয় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের। প্রাথমিকভাবে রিপোর্টে সার্স-কোভিড২ য়ের লক্ষণ থাকার পর অবস্থা গুরুতর হলে লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।পরে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। নিজের অনুপস্থিতিতে দেশে সামলানোর দায়িত্ব বিদেশ সচিব ডমিনিক রাবকে দেন ব্রিটেন সুপ্রিমো

উল্লেখ্য জনসন প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম যিনি করোনা আক্রান্ত হন। সরকারি সূত্র অনু্যায়ী ৫৫ বছর বয়সী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রবিস জনসন এখন পুরোপুরি সুস্থ আছেন।আগামী সোমবার তিনি কাজে ফিরছেন একথা নিশ্চিত করেছেন ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র। ইতিমধ্যে মহামারি কোভিড -১৯ নিয়ে সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে প্রেসিডেন্টকে।সমালোচকরা বলছেন,সরকারের তরফ থেকে কোভিড -১৯ এ চিকিৎসক সহ নার্সদের জন্য সুরক্ষার জন্য বিশেষ ব্যবস্থার অভাব রয়েছে,পাশাপাশি চিকিৎসার সরঞ্জাম সীমাবদ্ধ।করোনা টেস্টের জন্য কীট অপেক্ষাকৃত কম রোগীর তুলনায়। অন্যদিকে দেশের অর্থনীতির কথা মাথায় রেখে দীর্ঘদিন অবধি ব্যবসা বাণিজ্য সবই খোলা রাখেন। ২৩শে মার্চ জনসন ইতালি, স্পেন,ফ্রান্স,ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের কাজ বন্ধ রেখেছেন। এখনো পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের ২৪৯,০০০এরও বেশি কোভিড -১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে এবং কমপক্ষে ২০,৩৮১জন মারা গেছেন । ১লা এপ্রিল অবধি, ব্রিটেন দেশব্যাপী লকডাউন ব্যবস্থা তিন সপ্তাহের জন্য বাড়িয়েছে।অপরদিকে দেশের এই মহামারির জন্য দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এখনও কিছুদিন লকডাউন দৃঢ় রাখার বার্তা দিয়েছেন ।

রিপোর্ট – অর্পিতা বসু
চিত্র সূত্র – ট্যুইটর