‘কেমন আছেন! এমপিরা ভালো কাজ করছেন তো?’- রাজ্যের বিজেপি নেতাদের হঠাৎ ফোন মোদীর।

কলকাতা: বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লড়ছে গোটা দেশ। এই লড়াইয়ে যিনি গোটা দেশকে একসূত্রে বেঁধেছেন বলে মনে করা হচ্ছে, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লড়াইয়ে অনেকাংশে সফল তিনি, এমনটাই দাবি করছেন রাজনৈতিক মহলের বড় অংশ। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ মিলেছে ‘হু’ এর প্রশংসা। অতি সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, ৯৩ শতাংশ ভারতবাসী নাকি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই আছেন। কিন্তু ভারতে করোনা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। একপ্রকার নিশ্চিত, কিছু অঞ্চল বাদ দিয়ে, তৃতীয় ধাপে লকডাউন বাড়ার সম্ভাবনা। আজই মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রায় চূড়ান্ত হতে পারে এই সিদ্ধান্ত।

কিন্তু এহেন গম্ভীর পরিস্থিতিতেও, হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ধাপে ধাপে বিভিন্ন রাজ্যের কার্য কর্তাদের ফোন করে খোঁজ নিচ্ছেন। তাঁর পুরাতন কাজের সাথী, তাঁর সহযোদ্ধাদের শারীরিক খোঁজ নিচ্ছেন নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি বাংলার ৩ জন প্রবীণ বিজেপি কর্মকর্তাকে ফোন করে তাঁদের শারীরিক হাল হককিৎ জানতে চাওয়া এবং তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ ব্যক্তিগত আলাপচারিতা করেন নরেন্দ্র মোদী। যা দেখে, রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, এই কাজ প্রবীণদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন বলা যায়। এই খবরটি প্রকাশ্যে আসতে স্বাভাবিভাবেই উচ্ছসিত এবং মুগ্ধ বিজেপির সাধারণকর্মী থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীরা।

প্রসঙ্গত, রাজ্য বিজেপির প্রবীণ কর্মকর্তা শ্রী অনিন্দ্য গোপাল মিত্রকে তিনি দিল্লী থেকে ফোন করেন এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ খবর নেন। প্রায় ১৮ মিনিটের বাক্যালাপে তিনি করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের পারিবারিক অবস্থা, বাংলার সাংসদরা সঠিকভাবে তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন কিনা তা জানতে চান। উত্তরে অনিন্দ্য গোপাল মিত্র জানান, সব জায়গায় বিজেপি সাংসদরা ভালো কাজ করলেও আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, বালুরঘাট, ব্যারাকপুর সহ একাধিক জায়গার এমপিকে ত্রাণ নিয়ে লোকজনের কাছে পৌঁছাতে বাধা দেয় স্থানীয় প্রশাসন।

শুধু তাই নয় এই একান্ত আলাপচারিতায় সমকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, রেশন দুর্নীতি, মুখ্যমন্ত্রী- রাজ্যপাল তরজা সবটাই ছিল আলোচ্য বিষয়।

এছাড়াও তিনি কলকাতার ৯৩-নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন বিজেপি প্রেসিডেন্ট এবং প্রবীণ দলীয় কর্মকর্তা রঞ্জিত কুমার করের সঙ্গেও কথা বলেন। তাঁর স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং তাঁর আশীর্বাদ চান। এছাড়াও তিনি আরও এক প্রবীণ কর্মকর্তা এসএন লাম্বার সঙ্গেও কথোপকথন করেন। একান্ত আলাপচারিতায় উঠে আসে অতীতের ঘটনা। এছাড়াও বর্তমান পরিস্থিতি, রাজ্যের বিষয়েও খুঁটিনাটি আলোচনা হয় এই ফোনালাপের মাধ্যমে, এমনই খবর বিজেপি সূত্রে।

এই বিষয়ে, এঁরা প্রত্যেকেই তাঁদের অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে আমাদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর ফোন পেয়ে তাঁরা আপ্লুত, অভিভূত। তিনি যে ব্যস্ত সময়ের মধ্যেও খোঁজ নিয়েছেন এতেই উচ্ছসিত তাঁরা। সূত্রের খবর, ৩০০ জনের তালিকা পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে। সেখান থেকেই ফোন আসতে পারে ওই কর্মকর্তাদের কাছে।

২৬.০৪.২০২০
কলকাতা
শেষ আপডেট: ২৭.০৪.২০২০ ভোর: ৫ টা