করোনা-প্রভাব নির্বাচনেও? পিছিয়ে যেতে পারে পুরনির্বাচন? সর্বদলীয় বৈঠকে ‘ইস্যু’ তুলবেন বিরোধীরা।

কলকাতা: কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাসকে বিপর্যয় ঘোষণা করল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ঘোষিত হল করোনা ভাইরাসে মৃতদের জন্য ৪ লক্ষ করা হয়, যদিও পরে এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করে কেন্দ্র। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে কলকাতার ভারতীয় সংগ্রহশালা (জাদুঘর)। একই পথে হাঁটার সম্ভাবনা, অন্য দর্শনীয় স্থানে রও। আগামী, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে, ভারত বাংলাদেশ ট্রেন, বাস যোগাযোগ। এই পরিস্থিতিতে, শনিবার বিকেলে ফের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকও হল। রাজ্য কী কী করল? তার মূল্যায়নের জন্য এই বৈঠক। এদিকে এরাজ্যেও বন্ধ হয়েছে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়।

এবার এই ভাইরাসের জেরেই এক প্রকার আশঙ্কার সৃষ্টির সম্ভাবনা, রাজ্যের আসন্ন পুরনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আগামী সোমবার, কলকাতার নির্বাচন কমিশনের দফতরের সর্বদলীয় বৈঠকে করোনা ইস্যু ই হতে পারে মুখ্য। সূত্রের খবর, মহামারী করোনা ভাইরাস রোধে নির্বাচন আঁদে ও করা উচিত কিনা? এই প্রশ্ন তুলতে চলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। ওই সূত্রের দাবি, নির্বাচন মানেই জনসমাবেশ। নির্বাচনের প্রচার থেকে সমাবেশ, মিছিল, পথসভা সবেতেই একাধিক মানুষের সঙ্গেই সংযোগ ঘটে। এমনকি, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বোতাম, থেকে আঙুলে কালি, সই, কাগজ তৈরি, নির্বাচন পরিচালনার ছত্রে ছত্রে ছড়িয়ে আছে, একাধিক মানুষের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগ। এইরকম পরিস্থিতিতে,যেখানে বারবার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সমাবেশ এড়িয়ে থাকার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে দাঁড়িয়ে মহামারী করোনা ভাইরাস রিধ করে কিভাবে এইমুহুর্তে নির্বাচন সম্ভব? এই নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন ওই মহল, তাঁদের আশা নির্বাচনের কমিশনের ভাবনার উপরই। যদিও, কমিশনের তরফে এখনও পুর নির্বাচনের কোনও তারিখ ঘোষণা করা হয়নি। তবে, সম্ভাবনা রয়েছে এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে হতে পারে নির্বাচন। যা হতে গেলে স্বাভাবিকাবেই প্রচার বা অন্য নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ শুরু হবে মার্চের শেষ থেকেই। যদিও মার্চের শেষ পর্যন্ত অনেক রাজ্যের মতোই এরাজ্যেও একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার বন্ধ করা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্যেনেতা জয়প্রকাশ মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি ‘খবরওয়ালা’কে জানান: ‘করোনা মহামারী নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ভাবতে হবে, যদিও নির্বাচন রাজনৈতিক ইস্যু। আর এটি মানুষের সমস্যার, এটি অরাজনৈতিক ইস্যু, কিন্তু কমিশন যদি মনে করেন এটা রোধ করে নির্বাচন সম্ভব, তাহলে আমরা প্রস্তুত, সাহায্য করব, যদি তা না হয়, তাহলেও আমরা সাহায্য করব, হঠকারিতা নয়, কমিশনের এটা স্থিরভাবে ভাবা উচিত, অবশ্যই আমরা সোমবার বৈঠকে এটি বলব।’

সূত্রের খবর, শুধু বিজেপি না, এই ইস্যু তুলতে পারে, রাজ্যের অন্যান্য বিরোধীদলগুলো। এদিকে, এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে কমিশন, এমনও জানা যাচ্ছে সূত্রে। তাই, সামগ্রিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি এরাজ্যের পুরনির্বাচনেও প্রভাব ফেলতে পারে করোনা ভাইরাস? এখন অপেক্ষা, কমিশনের সিদ্ধান্তের উপরেই।

কলকাতা