কলকাতা: দেশজুড়ে আপাতত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ছে ‘লক্ ডাউন’। পশ্চিমবঙ্গেও বেড়েছে এই সময়সীমা। কড়াকড়ি করে কাজ করার কথা বলা হলেও, পুলিশকে বাড়াবাড়ি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাজারে ভিড়, ব্যাংকে ভিড়, অযথা ভিড় করার অভিযোগ উঠছে প্রথম থেকেই। এই পরিস্থিতির মধ্যেই এবার শিরোনামে উঠে এলো রাজ্যের আরেক সরকারি হাসপাতাল। হওয়ার হাসপাতাল, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পর, আর.জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবস্থাও প্রায় একই রকম।
সূত্রের খবর, করোনা আতঙ্কের জন্য, ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের একটি ওয়ার্ড এবং কার্ডিওলজি বিভাগের একাংশ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ২-৩ দিনের জন্য, এই অংশগুলোতে রোগী ভর্তি বন্ধ করা হয়েছে আপাতত। সম্পূর্ণ জীবাণুমুক্ত করার কাজের পর, ফের স্বাভাবিক করা হবে এই ওয়ার্ডগুলি। তবে, অপারেশন এবং আউটডোর পরিসেবা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক রয়েছে বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তাঁদের অনেকের দাবি, সঠিক খবর না ছড়িয়ে মিথ্যা কথা বলাও হচ্ছে। কারণ, একাংশ বন্ধ মানে সম্পূর্ণ বিভাগ নয়। চলছে বহুকাজ।
সূত্রের দাবি, এই হাসপাতালের, পুরুষ মেডিসিন বিভাগে ৬ টি ওয়ার্ড আছে। নির্দিষ্টভাবে ৫ নম্বর ওয়ার্ডটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। একইভাবে কার্ডিওলজি বিভাগের একাংশ বন্ধ করা হয়েছে। রোগী ভর্তি বন্ধ রাখা হয়েছে ওই অংশে। সকাল থেকেই স্যানিটাটাইজ করার কাজ শুরু হয়েছে। স্বাভাবিক হবে খুব শীঘ্রই। ওই সূত্রের তরফে জানা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি ওই ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যু ঘটে। পরে জানা যায়, ওই রোগী করোনা আক্রান্ত ছিলেন। এরপরেই, তড়িঘড়ি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। কমপক্ষে তালিকা তৈরি হয় ৪৫ জনের। যাঁদের পাঠানো হতে পারে, কোয়ারেন্টাইনে।
যদিও এই ঘটনার পর, জনমানসের একাংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালের ওই বিভাগের সচেনতা নিয়েও। তাঁরা কেন আগে থেকেই ব্যবস্থা নিতে বা বুঝতে সক্ষম হননি, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।
১১.০৪.২০২০
কলকাতা