করোনা আক্রান্তের মৃত্যুতেও পাওয়া যাবে বিমার টাকা! প্রিমিয়ামে দিন বাড়াল ভারতীয় জীবন বিমা নিগম।

আশঙ্কা বাড়ছে দেশজুড়ে। সমগ্র বিশ্বের অবস্থাও প্রায় এক। প্রত্যেকেই চাইছেন বাঁচতে, কিন্তু সবকিছুর পরেও সমস্ত জায়গাতেই মৃত্যুর খবরও আসছে দ্রুত! ‘লকডাউনে কীভাবে খাবার জুটবে! তা নিয়ে চিন্তার মধ্যেও এই মহামারীতে যাঁদের মৃত্যু ঘটছে, তাঁদের পরিবারের কী হবে, তা নিয়েও মাথাব্যথা বাড়ছে। জরুরি পরিসেবা য় যুক্তদের কেন্দ্র রাজ্যের বীমা থাকলেও,বাকিদের?

যদিও এই চিন্তা অনেক আগে থেকে করে রেখেছে বিভিন্ন বেসরকারি বিমা সংস্থাও। অন্যান্য মৃত্যু পরবর্তীকালে যে সাহায্যের নিয়ম ছিল, তা ইতিমধ্যেই কার্যকর করা হয়েছে কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনায় মৃত্যু হলে তাঁদের ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি, ভারতীয় জীবনবিমা নিগম বা এলআইসি-র তরফেও এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, তাদের তরফে এই পরিস্থিতির মধ্যে জানানো হয়, এলআইসির বিমা গ্রহণকারীদের ক্ষেত্রে, যে আকস্মিক মৃত্যু সংক্রান্ত প্ল্যান অর্থাৎ ওই সমস্ত ক্ষেত্রে যেভাবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সাহায্য বা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়, এই কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে, সেই অনুযায়ীই তাঁদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এলআইসির কোনও গ্রাহকের বা বিমা গ্রহণকারীর করোনা রোগে আকস্মিক মৃত্যু হলে, তাঁকে আগের নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এমনকি অধিকর্তারা বলছেন, এখনই প্রায় ১৬ জনকে এই কারণে খুব দ্রুত সাহায্য করা হয়েছে। যাঁদের করোনা রোগেই মৃত্যু হয়েছে। যে মৃত্যুর তথ্য সরকারি তালিকা অনুযায়ী বিচার করা হবে। তাঁদের গ্রাহকদের ক্ষেত্রে।

উল্লেখযোগ্য ভাবে, এলআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এপ্রিল ও মার্চ মাসের প্রিমিয়াম বা কিস্তি পরিশোধ করার সময়সীমা ৩০ দিন বাড়ানোর। এমনকি ফেব্রুয়ারি মাসের প্রিমিয়াম কেউ না দিয়ে থাকলে, তারজন্য এপ্রিলের মাঝামঝি পর্যন্ত সময় থাকবে। এমনকি, বিভিন্ন ডিজিটাল পদ্ধতির প্রয়োগ করে প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যাবে। এমনকি, ‘এলআইসি পে ডিরেক্ট অ্যাপ’ এর মাধ্যমেও প্রিমিয়াম জমা দেওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, এলআইসি-র ক্ষেত্রে, গত অর্থবছরে প্রায় ৭.৫ লক্ষ মৃত্যুর বিষয় এসেছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা বেড়ে ০.৭৫ শতাংশ বেশি বিষয় হয়েছে বলেও জানাচ্ছেন তাঁরা।

কলকাতা

১২.০৪.২০