কলকাতা: দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ২০৬ ! তরতরিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু তাতেও সচেতনতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে বারবার।গতকাল প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন একথা। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কা বেড়েছে এরাজ্যের। আজ অর্থাৎ শুক্রবার সকালেই আরেক আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে কলকাতা থেকে। বালিগঞ্জের ওই যুবকের বয়স ২২ বছর বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, গত ১৩ মার্চ তিনিও প্রথম আক্রান্ত যুবকের মতো লন্ডন থেকেই ফিরেছিলেন। যদিও এই যুবক ভুল করেননি। ঘরেই ছিলেন আইসোলেশনে। কিন্তু জ্বর, সর্দি, কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, তিনিই জানান চিকিৎসকদের। ১৬ তারিখের পর তাঁকে ভর্তি করা হয়, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তাঁর লালার নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় ‘নাইসেডে’। আজ সকালে জানা যায়, নভেল করোনা ভাইরাস তাঁর শরীরে দানা বেঁধেছে। তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কভিদ- ১৯ এ। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা পৌরসভার তরফে, তাঁর আবাসনে জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। আবাসনের আশেপাশেও চলছে সচেতনতার কাজ। যদিও আরও জানা যাচ্ছে যে, ছত্তিশগড় এবং চণ্ডীগড় এর দুই যুবক, যাঁরা বালিগঞ্জের এই আক্রান্তের বন্ধু, তাঁরাও আক্রান্ত হয়েছেন এই রোগে।
এই খবরের পর, যে বিমানে তাঁরা এসেছেন, সেই বিমানের যাত্রীদেরও শনাক্ত করে পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এদিকে চিন্তা বেড়েছে আরেকটি বিষয় নিয়ে। যুবকের বাবা মাকে হোম-কোয়ারেন্টাইনে রাখা হলেও, তাঁর বাড়িতেই রয়েছেন দুজন প্রবীণ সদস্য। সূত্রের খবর, এই প্রবীণ সদস্যদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সর্বাধিক! যা আটকাতে ইতিমধ্যেই, একজনকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখছেন চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে চিনকেও। উৎপত্তির দেশের থেকে এখন এখন এপিসেন্টার তৈরি হয়েছে। আজই এদেশে নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, বাধ্যতামূলক বিদেশ থেকে এলে বাড়িতে হোম কয়ারেন্টেনে থাকতেই হবে। এদিকে আজই রাজস্থান থেকে খবর পাওয়া যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে আবার সুস্থ হোয়েও, হৃদরোগে মারা গিয়েছেন এক ব্যক্তি।
কলকাতা
২০.০৩.২০২০