জ্বালানির দাম খানিকটা কমেছে। বিশ্ববাজারে তেলের দামের অবস্থা শোচনীয়। কিন্তু বাকি জিনিসের দামবৃদ্ধি, ইয়েস ব্যাংকের ডামাডোলে একপ্রকার নাস্তানাবুদ জনতার একটা বিরাট অংশ। এবার সেই আগুনে ঘি দিল এসবি আইয়ের কয়েকটি সিদ্ধান্ত। বুধবারের এই সিদ্ধান্ত গুলোর মধ্যে, দুটি ভালো, আর একটি মধ্যবিত্তদের জন্য খারাপ।
সিদ্ধান্তগুলো কী কী? প্রথমে আসি মধ্যবিত্তদের জন্য ‘খারাপ’ সিদ্ধান্তে। একটি বিজ্ঞপ্তিতে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অফ্ ইন্ডিয়া অর্থাৎ এসবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে, ২ কোটি টাকার কম স্থায়ী আমানতে সুদের হার কমানো হচ্ছে। প্রথমত, ৭ থেকে ৪৫ দিনের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমে হল ৪ শতাংশ! আগে যা ছিল ৪.৫ শতাংশ। ৪৬ থেকে ১৭৯ দিনের সঞ্চয়ে অপরিবর্তিতই থাকল, ৫ শতাংশ। ২ মাস আগে যা ছিল ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৮০ দিন থেকে ১ বছরের এফডি-তে সুদ অপরিবর্তিত ৫.৫ শতাংশ। ২ মাস আগে ছিল ৫.৮ শতাংশ। ১ থেকে ১০ বছরের ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার ৬ শতাংশ থেকে কমে হল ৫.৯ শতাংশ। ১০ জানুয়ারি যা ছিল ৬ দশমিক এক শতাংশ।
এসবিআইয়ের এই ঘোষণার পর, স্বাভাবিভাবেই কপালে চিন্তার ভাঁজ মধ্যবিত্তদের। তাঁদের চিন্তা বেড়েছে স্থায়ী আমানতের ক্ষেত্রে। কিন্তু এর পাশাপাশি এসবিআই, নতুন দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা একপ্রকার খুশির সঞ্চার করতে পারে এসবিআইয়ের কয়েকোটি গ্রাহকদের মধ্যে। কারণ, এবার থেকে আর সেভিংস অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স না থাকলে, দিতে হবে না আর অতিরিক্ত চার্জ। এবার শূন্য ব্যালান্স থাকতে পারে অ্যাকাউন্টে। যেমন; এতদিন এইরকম হলে দিতে হত চার্জ। বড় শহরের জন্য, অ্যাকাউন্টে রাখতে হত, কমপক্ষে ৩০০০ টাকা, ছোট শহরে ২০০০ টাকা আর গ্রামাঞ্চলে অ্যাকাউন্টে রাখতে হত কমপক্ষে ১০০০ টাকা, নইলে কাটা হত চার্জ। নির্দিষ্ট টাকা সঙ্গে জিএসটি কাটা হত, গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে।এদিকে আর থাকবে না তিনমাসে ৫ টাকা এমএমএস চার্জ। এই চার্জও তুলে দিল ব্যাংক।
প্রসঙ্গত, ব্যালান্স কম থাকলে আগে দিতে হত, শহর বা গ্রামাঞ্চল ভেদে প্রায় ১৫ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত চার্জ, সঙ্গে জিএসটি। যা উঠে যাওয়ার ফলে উপকৃত হলেন এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকের প্রায় ৪৪.৫১ কোটি গ্রাহক।
১২.০৩.২০২০
ছবি সৌজন্যে: এসবিআই।