ইন্টার্ন বিক্ষোভের পর সক্রিয় হাসপাতাল?

করোনা আবহে যখন পুরো কলকাতা কাঁপছে তখনই অসন্তোষ দেখা গেল রাজ্যের এক সরকারি হাসপাতালে। সরকারি কলেজ হাসপাতাল অধ্যয়নরত ট্রেনিংয়ে থাকা এক জুনিয়র চিকিৎসক জানান, তারা ঠিক মত তাদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার সামগ্রী পাচ্ছেন না। প্রশ্ন তোলে, সরকারের ক্রিয়াকর্মের ভাঁজে থাকা সত্যির ওপর। গত ২০ শে এপ্রিল তারা প্রথম প্রেস রিলিজ বার করে এবং এর মাধ্যমে তারা সমস্ত মিডিয়ার সামনে তাদের সমস্যার প্রতিকারের উপায় চেয়ে প্রশ্ন ছোঁড়ে উচ্চ দপ্তরের দিকে। তারা সেখানে জানায় যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি তারা পাচ্ছেন না। যেমন :- N-৯৫ মাস্ক এতদিন তারা পাননি। কিন্তু কাল (মঙ্গলবার) তাদের উচ্চ দপ্তর তাদের সাথে একটি বৈঠক করেন এবং তারই নিরিখে আরও একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করেন সেখানে তারা বলেন, অবশেষে তারা মাক্স ও গ্লাফস পেয়েছেন। গত ৪ ঠা এপ্রিল এক গাইনো পেশেন্টের করোনা ধরা পড়ে। তাকে ইডেন হাসপাতাল এ পাঠানো হয়। তার থেকেই বাকিরা সংক্রমিত হয় বলে জানা গেছে। তবে সেই পেশেন্টকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় তবে তার বাচ্চা সুস্থ আছে এবং তিনিও এখন ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে আরও সমস্যা হাজির হয়, যেহেতু ওই খানে ট্রেনিং প্রাপ্ত ডাক্তার রা ও নার্স র ছিল তাই ওর থেকে আরও দুজনের করোনা ধরা পড়ে। তাই, দাবি জানানো হয় তাদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখার, কিন্তু প্রথমে দাবি না মানা হলেও পরে তাদের কথা মেনেই কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়, তবে এতে সমস্যা দাঁড়ায়, একই রুমে ৪ জন করে রাখা হয় পাশাপাশি যারা সংক্রমিত এবং যারা সংক্রামিত নয় তাদের একই টয়লেট ব্যবহার করতে বলা হয় বলে অভিযোগ। যার প্রতিবাদ করা হলেও কোনও সুরাহা মেলে নি বলেই মত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইন্টার্নের। এখনও অবধি ৪ জন ইন্টার্ন করোনা আক্রান্ত, তাদের মধ্যে দুজন কে প্রথমেই বেড দেওয়া হয়, এখন তারা বেলেঘাটা আইডি তে আছে এবং একজনকে বাঙ্গুর হাসপাতালের জেনারেল বেডে রাখা হয়। এই নিয়েও অনেক সমস্যা দেখা গেছে। তবে সূত্র মারফত খবর, আস্তে আস্তে এখন তাদের চাহিদা মেটানো হচ্ছে। তবে সুরাহা কি কোনপথে এগোবে তা বলা মুশকিল। ২২/০৪/২০২০ রিপোর্ট -শিল্পা চ্যাটার্জী চিত্র সূত্র – নিজস্ব, গুগল